শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
ভারতের নাকের ডগায় এবার চিন গ্রাম তৈরি করছে। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, চিন মিডল সেক্টর এবং পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিপরীতে মডেল গ্রাম বা ‘জিয়াওকাং’ যার বাংলা অর্থ মাঝারিভাবে সমৃদ্ধ, গ্রাম তৈরি করে তাদের নেটওয়ার্ক বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়াও, মধ্য সেক্টরে এলএসি থেকে প্রায় ৬ বা ৭ কিমি দূরে নতুন পোস্ট মোতায়েন করছে।এছাড়াও কিছু এলাকায়, টহলদারির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে এর ফলে বেড়েছে।
বারাহোতির বিপরীতে, এর আগে চিনারা দ্রুত গতিতে গ্রাম তৈরি করছে, কখনও কখনও ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে বহুতল ব্লক তৈরী করে সেখানে ৩০০ থেকে ৪০০টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে, গোয়েন্দা সূত্র এই তথ্য দিয়েছে। টহল বৃদ্ধির বিষয়ে এই সূত্রটি বলেছে যে পিএলএ টহল ১৫ দিন বা তারও বেশি সময়ে একটি নির্দিষ্ট মরসুমে বহুবার দেখা গেছে, যা প্রায় তিন বা চার মাস ধরে চলেছে। মানা, নীতি ও থাংলা এলাকায়ও ছোট ছোট টহল নজরে এসেছে গোয়েন্দাদের।
দ্বিতীয় আর একটি সূত্র জানাচ্ছে, “থোলিং এলাকার উত্তর-পশ্চিমে একটি সীমান্ত বসতি গ্রামের নির্মাণ হচ্ছে, এবং সেটা তাদের নজরে এসেছে। এই প্রস্তাবিত গ্রামের কাছাকাছি একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। এই গ্রাম নির্মাণের সুপারস্ট্রাকচার সম্পূর্ণ হয়েছে।”
একইভাবে, অরুণাচল প্রদেশে, কামেং এলাকার বিপরীতে, কুনা দেশে ৪১টি আবাসিক বাড়ি, গ্রিনহাউস এবং সৌর-আলোর সমন্বয়ে দুটি গ্রাম গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে এবং সেখানে মেনবা জাতিগত সম্প্রদায়ের প্রায় ২০০ জন বাসিন্দা রয়েছে বলে ওই গোয়েন্দা সূত্রটি জানিয়েছে। অন্যান্য অনেক জায়গার মতো, গ্রামের সংলগ্ন একটি সামরিক কমপ্লেক্স গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে, যেখানে সিসিটিভি এবং ওয়াচ টাওয়ার সহ একটি প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত বহুতল ভবন রয়েছে। আগেই গোয়েন্দা রিপোর্টে এই বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ‘শিলিগুড়ি করিডোর’-এর মুখোমুখি চুম্বি উপত্যকা সহ সমস্ত এলএসি জুড়ে প্রচুর সংখ্যক ‘জিয়াওকাং’ গ্রাম রয়েছে।
চিন যখন পরিকাঠামো সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে, ভারতও মিডল সেক্টরে রাস্তা এবং অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রায় একই ভাবে কাজ করেচলেছে। নজরদারি এবং ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এলএসি বরাবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা নতুন প্রযুক্তির ব্যাপক সংযোজনও করা হয়েছে।
২০২০ সালের এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে চিনের সাথে যুদ্ধ বিরতির শুরু থেকে, পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ দ্বারা বাহিনী তৈরি করা হয়েছে এবং এলএসি বরাবর অন্যান্য অঞ্চলে সীমানা লঙ্ঘন হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে, ১০০ -র বেশি চিনা সৈন্য উত্তরাখণ্ডের বারাহোতিতে ভারতীয় ভূখণ্ডে চার বা পাঁচ কিলোমিটার অতিক্রম ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল এবং কয়েক ঘন্টা পরে আবার ফিরে গেছে।
মিডল সেক্টরে চিনের সীমালঙ্ঘনের ঘটনা নতুন নয়, পাশাপাশি পিএলএ সৈন্যের সংখ্যাও বাড়ছে। এই সীমানা মূলত ৩ হাজার ৪৮৮-কিমি-দীর্ঘ এলএসি পশ্চিম লাদাখ, মধ্য হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড এবং পূর্ব সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ সেক্টরে বিভক্ত।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী গত তিন বছরে, উচ্চ প্রযুক্তির সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। আর এই কারণে একাধিক চুক্তিও ভারত স্বাক্ষর করেছে, যা বর্তমানে অগ্রবর্তী অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নতুন স্বয়ংক্রিয় যানবাহনগুলি শীঘ্রই সামনের অবস্থানে সৈন্যদের জন্য রেশন এবং প্রয়োজনীয় জিনিস পরিবহনের জন্য পশুদ্বারা পরিবহনের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। স্নো স্কুটার, লেজার ড্যাজলার এবং নতুন প্রজন্মের স্নাইপার রাইফেলগুলিও এই উচ্চপ্রযুক্তির সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34