Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ১৬, ২০২৩

নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামি মণীন্দ্র ও সুরেন্দ্রর ফাঁসি রদ !

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামি মণীন্দ্র ও সুরেন্দ্রর ফাঁসি রদ !

নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা হয়েছিল নিঠারি হত্যা মামলার দুই অভিযুক্তের, উচ্চ আদালতে তাদের ফাঁসির সাজা রদ হয়ে গেল এলাহাবাদ হাই কোর্টে। এর ফলে ২০০৬ সালে নয়ডার নিঠারি হত্যা মামলার সেই দুই মূল অভিযুক্ত মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলির ফাঁসির সাজা থেকে রেহাই পেল। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে,  সুরেন্দ্রকে ১২টি মামলায় এবং মণীন্দ্রকে দু’টি মামলায় “নির্দোষ” ঘোষণা করেছে এলাহাবাদ উচ্চ আদালত। তার ফলেই এই দুই জন ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত আসামির ফাঁসির সাজা রদ হয়ে গেল।

নিঠারি হত্যা মামলার ঘটনা দেশের মানুষের মনে অপরাধ সম্বন্ধে নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। সময়টা ২০০৫-২০০৬ সাল। সেই সময়  নিঠারিতে একের পর যুবতী, কিশোর- কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করল। এই ভাবে যুবতী, কিশোর-কিশোরী  নিখোঁজের তদন্তে নেমে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিঠারির ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৯টি কঙ্কাল এবং কিছু মানুষের দেহাবশেষ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সারা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে জানা গেল,  শিশু, কিশোর-কিশোরীদের উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে খুন করে তাদের দেহের অংশ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলতেন মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং তাঁর বা়ড়ির পরিচারক সুরেন্দ্র কোহলি। পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কারগুলির মধ্যে ছিল বাঙালি তরুণী পিঙ্কি সরকারের কঙ্কাল ছিল। অভিযোগ ছিল, যৌন নির্যাতনের পরে খুন করা হয় পিঙ্কিকে। সেই মামলায় পান্ধের এবং কোহলিকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিলেন সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারক পবন তিওয়ারি।

নিঠারি কাণ্ডের ১৯টি মামলার মধ্যে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে সাতটিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় কোহলিকে। মণীন্দ্র অবশ্য মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। পরে পিঙ্কি খুনের মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

পিঙ্কি খুনে সিবিআই তদন্তে উঠে আসে, বছর কুড়ির বাঙালি মেয়েটি মণীন্দ্রের বাড়িতে পরিচারিকার কাজে ঢুকেছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা জানায়, সেখানে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে খুন করা হয়। সুরেন্দ্র দোতলার কলঘরে তাঁকে খুন করেন। তার পর তাঁর মাথা কেটে বাকি দেহ প্রেশার কুকারে রান্না করে খেয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০৭ সালের এপ্রিলে পিঙ্কির জামাকাপড় শনাক্ত করেন তাঁর বাবা-মা। পরে সুরেন্দ্র নিজেই পিঙ্কির চটিজোড়া শনাক্ত করেন। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অন্য মামলাগুলিতেও তিনি নিজেই শিশুদের ধর্ষণ, খুন করে তাদের খেয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!