Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • জুন ১৫, ২০২২

অভিযোগ খালেদার অসুস্থতাকে পুঁজি করছে আওয়ামি লিগ। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভোটে কঠোর তদারকি ।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
অভিযোগ খালেদার অসুস্থতাকে পুঁজি করছে আওয়ামি লিগ। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভোটে কঠোর তদারকি ।

গত শুক্রবার রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়নি। গত এক বছরে বার কয়েক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে । খালেদা বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। বিদেশে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানোর সুযোগ নেই। অথচ ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের সাংসদ হাজি সেলিম যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন। বিএনপির অভিযোগ, খালেদার অসুস্থতাকে পুঁজি করছে আওয়ামি লিগ, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন বিএনপির একাংশ নেতা-কর্মী । অভিযোগ কতটা সত্য, তা বিএনপি জানে । জানে বাংলাদেশের সরকার।

বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি এখনও অটল। আওয়ামি লিগ চেষ্টা করছে, নির্বাচনে বিএনপি যোগ দিক। অভিযোগ, আওয়ামি লিগের প্রচেষ্টায় বিএনপির একাংশ নেতার সায় আছে। অভিযোগের ভিত্তি কী তা অজ্ঞাত।

আওয়ামি লিগ দেশে-বিদেশে তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে স্বচেষ্ট। তাদের নেতৃত্ব বোঝাবার চেষ্টা করবে, প্রকৃত গণতন্ত্র গড়ে তুলতে তারা বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশে তদারকি সরকারে অধীনে নির্বাচন করানো কাম্য নয়। গত নির্বাচনেও আওয়ামি লিগের একই অবস্থান ছিল। ভোটে বিরোধীরা কোথাও কোথাও দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোটের দিন পরাজয় অনিবার্য দেখে সরে দাঁড়ান। আওয়ামি লিগ এই সুযোগে তার একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখে। আওয়ামি লিগের অনকূলে হাওয়া ছিল। উন্নয়ন ছিল তাদের রাজনৈতিক ইস্যু। এবারও আসন্ন নির্বাচনেও এটি সুবিধাজনক সুযোগ তৈরি করবে। আওয়ামি লিগ বিরোধী বিভিন্ন দলের অনুমাণ, অবাদ ভোট হলে আওয়ামি লিগ হেরে যাবে। এ অনুমান যে অলীক বাস্তব তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাঙ্খিত উন্নয়ণ গন্তব্যের দিকে দ্রুত গতিতে ছুটছে। এক্ষেত্রে হাসিনার সঙ্গে বিএনপির প্রতিযোগিতা হালে পানি পাবে না। সাধারণ শ্রমিক ও কৃষক যাঁরা বাংলাদেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন, তাঁদের চোখে বহুমুখী উন্নয়ন আলোর মতো ভাসছে। কিন্তু নাগরিক মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত যাঁরা ভোটের নির্নায়ক শক্তি নয়, তাঁরাই নিরপ্রেক্ষ হীনতার শিকার। তাঁরাই বলছে অবাধে ভোট হয় না। হলে আওয়ামি লিগের পরাজয় অনিবার্য। এই ধারনার সঙ্গে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী চিত্র যদি মিলিয়ে দেখা যায় তা হলে প্রকূত সত্য খানিকটা প্রকাশ্যে চলে আসবে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট প্রয়োগ ও গোলযোগ করার চেষ্টার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করে সাজা দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসান এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে । ১০৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৭৫টি তল্লাশিচৌকি, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের ৩০ টিম, ৫২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব রয়েছেন। বিভিন্ন নির্বাচন বুথে মোতায়েন করা হয় ৩ হাজার ৬০৮ পুলিস কর্মী। এরকম কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় ভোটে কারচুপি কী সম্ভব?ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। আওয়ামি লিগ জিততে পারে । কেন না উন্নয়নের ইস্যু তাদের সঙ্গী। দ্বিতীয়ত, প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটারদের অবস্থান খুবই দুর্বল। তৃতীয়ত, বিরোধীরা প্রত্যাশিত ঐক্য গড়ে তুলতে পারেনি। স্থানীয় নেতৃত্ব সংশয়াচ্ছন্ন । চেয়ার পার্সন গুরুতর অসুস্থ।


❤ Support Us
error: Content is protected !!