Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • অক্টোবর ১১, ২০২৩

লেবানন, সিরিয়া থেকে যুদ্ধের হুমকির সম্মুখীন ইসরায়েল, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লেবানন, সিরিয়া থেকে যুদ্ধের হুমকির সম্মুখীন ইসরায়েল, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছ থেকে গাজা সীমান্ত এলাকাগুলি পুনরুদ্ধার করেছে। ভয়ঙ্কর লড়াই পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। উভয় পক্ষের হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। গত সন্ধ্যায় সিরিয়ায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জঙ্গি বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে।

ইসরায়েলের ইতিহাসে এই রকম হামলার ঘটনা এখনও পর্যন্ত খারাপ হামলাগুলির মধ্যে “সবচেয়ে খারাপ” বলে তারা বর্ণনা করেছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২০০-এর উপরে পৌঁছেছে। গাজার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত জানাচ্ছে ৭৬৫ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল সেনাবাহিনী আরও বলেছে যে তারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রায় ১৫০০ ফিলিস্তিনি জঙ্গি সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

গাজায় ফিলিস্তিনি জিঙ্গিদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েলের এই রাতারাতি হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েল সেনাবাহিনী বলেছে যে যুদ্ধবিমানগুলিতে উন্নত সনাক্তকরণ ব্যবস্থা  ধ্বংস করেছে, যার সাহায্যে ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা সামরিক বিমানকে চিহ্নিত করছিল।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকার একটি ফিলিস্তিনি বাড়িতে ইসরায়েলের একেকটি আক্রমণের প্রতিবাদে একজন করে পণবন্দিকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখা ইসরায়েলকে এই বলে সতর্ক করেছে।  এই রকম পণবন্দির দলটিতে শিশুসহ ১৫০ জন রয়েছে।

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ করেছে, সেখানে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পরই  এই হুমকি আসে। এই পদক্ষেপটি ইতিমধ্যে ভয়ানক অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী গতকাল বলেছে, সিরিয়া থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি উৎক্ষেপণ হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সৈন্যরা সিরিয়ায় উৎক্ষেপণের উৎসের দিকে কামান ও মর্টার শেল দিয়ে পাল্টা জবাব দিচ্ছে।” ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠী  মঙ্গলবারও লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়েছে, যা হিজবুল্লাহর অবস্থানে ইসরায়েলি হামলাকে প্ররোচিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে এক বার্তা দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর শনিবারের ব্যাপক  যে ব্যাপক হামলা করেছে, তার পরে তাদের ধ্বংস করতে হবে এবং এটা মধ্যপ্রাচ্যকে পরিবর্তিত করার জন্য একটি উপযুক্ত যুদ্ধের সূচনা মাত্র।
তিনি ইসরায়েলি সাধারণ নাগরিকদের ওপর এই আক্রমণ ও হত্যার ঘটনাকে আইএসআইএস দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার সাথে তুলনা করেছেন। ,   নেতানিয়াহু বলেন, “ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীরা শিশুদের বেঁধে, পুড়িয়ে মারা এবং হত্যা করেছে, তারা বর্বর।

মূল মিত্র মার্কিন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালির মতো দেশগুলি ইসরায়েলের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। “আমরা এই সব দেশের নেতারা যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষাকে আমরা স্বীকৃতি দিই, তবে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আরও সন্ত্রাস ও রক্তপাত ছাড়া আর কিছুই সামনে দেখা  যাচ্ছে না।”

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার এক আবেগঘন বক্তৃতায়, মার্কিন মিত্র ইসরায়েলের উপর ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলাকে নিছক খারাপ বলে নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে আরও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে প্রস্তুত। সংহতি সফরে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের সিনিয়র নেতাদের সাথে দেখা করতে আজ ইসরায়েলে যাবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, “এই সফর সংহতি ও সমর্থনের বার্তাবাহক হবে।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, নেপাল, পানামা, প্যারাগুয়ে, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ইউক্রেন সহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের হত্যা, অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীরা যখন ইসরায়েলে হামলা চালায় তখন দক্ষিণ ইসরায়েলের মরুভূমিতে একটি সঙ্গীত উৎসবে এমন অনেক বিদেশী ছিলেন, যাদের মধ্যে অনেক নিখোঁজ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!