- দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
আমেরিকার পথে ক্ষুব্ধ অমর্ত্য। যাওয়ার আগে বললেন, বিতর্কের প্রশ্ন নেই। উত্তরাধিকারসূত্রে আমিই জমির মালিক
এ নিয়ে প্রশ্ন থাকলে উপাচার্যকেই করা হোক

আপাতত শান্তিনিকেতন থেকে আমেরিকার পথে রওনা হলেন অর্থশাস্ত্রী অমর্ত্য সেন। প্রথমে মুম্বাই, তারপর সেখান থেকে আমেরিকায় চলে যাবেন । শান্তিনিকেতন ছারার আগে বলে গেলেন, বিশ্বভারতী চত্বরে আমার বাবার জমি উত্তরাধিকারসূত্রে আমারই প্রাপ্য। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না। সাংবাদিকদের কৌতূহল দেখে সরাসরি বললেন, এ ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে করা হোক।
বৃহস্পতিবার প্রতীচী থেকে বেরোনোর সময় জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে জানান, এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে তিনি রাজি হননি। জমি নিয়ে অকারণ বিতর্কে তিনি ব্যথিত কিনা জানতে চাওয়া হলে বিনয়ের সঙ্গে জানালেন যে ব্যথা পাওয়ার অবকাশ কোথায়? তাঁকে যে হেনস্থা করা হচ্ছে, সেটা ওরা বুঝতে পারেননি । দার্শনিক অর্থশাস্ত্রীর কণ্ঠে তখন চাপা অসন্তোষ। বোঝা গেল, তিনি বেদনাহত। ক্ষুব্ধ
অমর্ত্য দৃঢ়তার সঙ্গে জানালেন যে প্রতীচী ট্রাষ্টের জমির মালিক ছিলেন তাঁর বাবা আশুতোষ সেন। উইল অনুসারে, বাবার জীবনাবসানের পর তাঁর মা অমিতা সেন জমির মালিকানা পাবেন। পরে, উত্তরাধিকার সূত্রে সে জমি তাঁরই পাওয়া উচিত। এ নিয়ে বিতর্ক অপ্রয়োজনীয়, অপ্রাসঙ্গিক।
কয়েকদিন আগে, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর সমালোচকদের ‘বুড়ো খোকা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। নিন্দায় সরব হয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকরা। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে উপাচার্যর দিকেই উস্মা ঠেলে দিলেন অধ্যাপক সেন।সাংবাদিকদেরর বললেন, প্রশ্ন যদি করতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেই করা হোক।
জমির মালিকানা ঘিরে অমর্ত্যকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, যেভাবে নোবেল পুরস্কার নিয়ে তাঁর অপবাদ রটিয়েছেন উপাচার্য, তাতে বিশ্বজয়ী বঙ্গ সন্তানের ব্যথিত হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু একবারও তাঁকে ক্রুদ্ধ হতে দেখা যায়নি। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকের নিত্য রুখতে তাঁর দৃঢ়তা আর সংশয়হীনতা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
❤ Support Us