- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
ব্লিঙ্কেন-জয়শংকর বৈঠকে উত্থাপিতই হল না কানাডা প্রসঙ্গ!

এস জয়শঙ্কর ও অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলো না কানাডার প্রসঙ্গ। রাষ্ট্রসংঘে কানাডা প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। দিল্লি ও ওটায়ার মধ্যে উত্তেজনার পারদ এখন ক্রমে চড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও এস জয়শংকর। কূটনীতিকরা মনে করছিলেন, তাঁদের বৈঠকে কানাডা প্রসঙ্গ উঠতে পারে কিন্তু সেই প্রসঙ্গে কোনও কথাই হয়নি!
২৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার ব্লিঙ্কেন-জয়শংকর বৈঠকের পর মার্কিন বিদেশ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তাঁদের আলোচনায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের খুন হওয়ার প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। এই প্রসঙ্গটি বৈঠকে ওঠেইনি। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন, “আমেরিকার সচিব ও ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে আসন্ন টু প্লাস টু সংলাপ, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি অন্যতম।
বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জয়শংকর বলেন, “এখানে এসে আমি অভিভূত। ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সামিটকে সমর্থন করার জন্য আমেরিকাকে ধন্যবাদ।” একইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ভারত ও আমেরিকার মন্ত্রীদের মধ্যে টু প্লাস টু সংলাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। জানা গিয়েছে, এই সাংবাদিক সম্মেলনে ব্লিঙ্কেনকে কানাডা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু মার্কিন বিদেশ সচিব প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আমার বন্ধু জয়শংকর এখানে আসায় আমি খুব খুশি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে।”
ব্লিঙ্কেন-জয়শংকর বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসতে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, নিশ্চিতভাবেই দুজনের কথায় উঠে আসবেই কানাডার প্রসঙ্গ। জুন মাসে খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের খুনের ঘটনায় ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যা নিয়ে ওটায়া ও নয়াদিল্লির মধ্যে উষ্মা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, খালিস্তানি বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে মার্কিন প্রশাসন। নিজ্জার হত্যা ইস্যুতে যে বিতর্ক ভারত-কানাডার মধ্যে তাতে দু’দেশকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে। বিশ্লেষকদের মতে, কানাডা ও ভারত কোনও দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে না ওয়াশিংটন। কারণ দুদেশের সঙ্গেই আমেরিকার রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। তাই কানাডা প্রসঙ্গে কোনও বিতর্কে যায়নি মার্কিন প্রশাসনের কর্তাটি ।
❤ Support Us