Advertisement
  • Uncategorized প্রচ্ছদ রচনা
  • ডিসেম্বর ১৭, ২০২২

সীমান্ত সুরক্ষায় সমান দায়িত্ব রাজ্যের।নবান্নের বৈঠকে জানালেন অমিত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সীমান্ত সুরক্ষায় সমান দায়িত্ব রাজ্যের।নবান্নের বৈঠকে জানালেন অমিত

শনিবার ঘোষিত পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়  ভাল্লা। পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকে শাহ মমতার সাক্ষাৎ অবশ্য এই প্রথম নয় । আগেও বহুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। তবে কেন্দ্র রাজ্যের বিরোধের প্রেক্ষিতে হাওড়ার  নবান্নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠক প্রথম। নবান্নের এই বৈঠকে  মমতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের প্রতিনিধি। উল্লেখ্য যে নভেম্বর মাসের  ৫ তারিখে  পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সমন্বয়সাধনের লক্ষ্যে শাহের সভাপতিত্বে বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব উপস্থিত থাকবেন না জানানোয় এই বৈঠকটি পিছিয়ে যায়।

বৈঠকে আন্তঃরাজ্য সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা  হয়েছে।   শাহ সীমান্ত রক্ষা নিয়ে রাজ্যেরও  দায়িত্ব আছে   সে কথা স্মরণ করিয়ে দেন।উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবর মাসে অমিত শাহ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর  এলাকা কতদূর পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে সেটা জানিয়েছিলেন। যার চরম বিরোধিতা করে   রাজ্য  সরকার।  এদিনের বৈঠকে তা নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও সীমানা সুরক্ষা সংক্রান্ত  সমস্যা যে কেন্দ্র ও রাজ্যের পারস্পরিক আলোচনাতেই সম্ভব, তা শাহের বক্তব্যে স্পষ্ট। নবান্ন সুত্রে জানা যাচ্ছে যে, সীমানা নিরাপত্তার বিষয়ে কেন্দ্র উদ্বিগ্ন। গরু পাচার সহ বিভিন্ন চোরা কারবার রুখতে রাজ্যের সাহায্য যে একান্ত প্রয়োজন তার ইঙ্গিত মিলেছে বৈঠকে। রীতি অনুযায়ী বৈঠকের আলোচ্য বিষয়সূচি কি হবে তা নিয়ে একটি কমিটি গড়ে আগে থেকে তা স্থির করা হয়।  সেই বিষয় সূচি অনুযায়ী মমতা এই বৈঠকে  ফ্রেট করিডর নিয়ে শাহর সাথে আলোচনা করেন।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে পাঁচটি আঞ্চলিক পরিষদ রয়েছে। রাজ্যগুলোর মধ্যেকার  সম্পর্কের উন্নতি এবং  অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য  এই আঞ্চলিক পরিষদগুলির বৈঠক প্রতি  বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১৪ এর পর থেকে গত আট বছরে এই ধরণের বৈঠকের সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে। যেহেতু মোদি সরকারের লক্ষ্য হল, সহযোগিতামূলক ও প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সুদৃঢ় করা। তাই তারই অংশ  হিসেবেই এতবার রাজ্যগুলোর সাথে বৈঠক করে কেন্দ্রের সরকার ।  এই ধরণের বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা  বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের নিষ্পত্তির চেষ্টা করে থাকেন পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত রাজ্য পুনর্গঠন সংক্রান্ত আইন ১৯৫৬ সালে পাশ হয়।  সেই আইনের ১৫ থেকে ২২ নং ধারা অনুযায়ী এই পরিষদ গুলো ১৯৫৭ সালে গড়ে ওঠে। । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এর চেয়ারম্যান আর যে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় পরিষদের বৈঠক সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান হন।


❤ Support Us
error: Content is protected !!