Advertisement
  • দে । শ
  • মার্চ ১৪, ২০২৩

বিশ্বজুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনে পুলিশের আপাত নিরিহ ছররা গুলি হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী, বাড়ছে পঙ্গুত্ব। দাবি অ্যামনেস্টির

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনে পুলিশের আপাত নিরিহ ছররা গুলি হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী, বাড়ছে পঙ্গুত্ব। দাবি অ্যামনেস্টির

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বেলাগাম রবার বুলেটের পুলিশি দমনের বিরুদ্ধে চিলিতে নাগরিক মিছিল

জন বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অস্ত্র রবার বুলেট, ছড়রা গুলি।বিশ্বজুড়েই গণ আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে ক্রমশই ব্যবহার বাড়ছে রবার বুলেটের। এবার, আপাত ভাবে প্রাণঘাতক নয় সেই বহুল ব্যবহৃত অস্ত্রের ভয়ঙ্করতা নিয়ে নয়া রিপোর্ট পেশ করল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।প্রতিবেদনের বয়ান অনুযায়ী বিক্ষোভ দমনে পুলিশের এই অস্ত্রে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারাচ্ছে একাধিক মানুষ। গত পাঁচ বছরে, বিশ্বের ত্রিশ দেশে রবারের গুলিতে পঙ্গু হয়েছেন, দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন হাজারো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে লন্ডনের মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, এধরনের অস্ত্রের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণ জারি করাও জরুরি। এধরনের অস্ত্র তৈরিতেও রাশ টানা জরুরি ।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কাশ্মীরেও ভারতীয় আধাসেনা জনবিক্ষোভকে দমন করতে রবার বুলেট এবং ছড়রা গুলির ব্যবহার করেছে।সামরিক বাহিনীর বেলাগাম গুলিতে চোখ হারিয়েছে বহু কাশ্মীরি শিশু, কিশোর, যুবতী। এনিয়ে রাষ্ট্র সঙ্ঘের মঞ্চেও প্রতিবাদ হয়েছে।২০১৯ সালে চিলির সরকার বিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে রাবার বুলেট-সহ তথাকথিত কম প্রাণঘাতী অস্ত্র হিসেবে যেগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে অন্তত ৪৪০জনের চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওঁদের ৩০জনের বেশি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।২০২০ সালের মার্চে মিনিয়াপোলিসে নাগরিক আন্দোলন দমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করায় গুরুতর জখম হন আন্দোলনকারীদের একাংশ।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং  ওমেগা রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০০০ সালে ইজরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট রাবারের আস্তরণ দেওয়া ধাতব বুলেটের ব্যবহারে আপত্তি জানালেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। বরং ধারাবাহিকভাবেই রাবার বুলেট ব্যবহার করা হচ্ছে।

রবার বুলেট বা ছড়রা ব্যবহারের ক্ষেত্রে, কোমড়ের নীচে গুলি চালানোর যে নির্দিষ্ট নিয়ম তাও বারাবর লঙ্ঘিত হচ্ছে।ফলে বিশ্বজুড়ে, প্রতিবাদ দমনে রবার বুলেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে বাড়ছে মৃত্যুর হার।একইসঙ্গে মারাত্মকভাবে জখম হচ্ছে চোখ-সহ শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।

এই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে দাবি করছে, বিশ্বের নানা দেশে নাগরিক আন্দোলনকে দমাতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী যথেচ্ছভাবে কাঁদানে গ্যাসের গ্রেনেড ব্যবহার করছে। ইরাকে ২০১৯ সালে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদরত ১০জনের মৃত্যু হয়। এরপরেও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা থেকে নিবৃত্ত হয়নি বিশ্বের নানা দেশের পুলিশ। ইরাক ছাড়াও তালিকায় থাকা দেশগুলির ভিতর আছে চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, গাজা, হংকং, ইরান, পেরু, সুদান, ভেনেজুয়েলার মতো দেশ।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যৌথভাবে এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে ওমেগা রিসার্চ ফাউন্ডেশন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!