- দে । শ
- মে ৩, ২০২৪
বাবার অকালমৃত্যু বাড়ায় জেদ, মাধ্যমিকে দশম কাটোয়ার অনীশ

ক্যানসার আক্রান্ত বাবার মৃত্যু হয়েছে মাস তিনেক আগে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বছর ষোলর অনীশ কোনার। সর্বশিক্ষা মিশনের কর্মী ছিলেন অনীশের বাবা অসীমেশ কোনার। অকালে বাবাকে হারিয়ে লেখাপড়াটাকেই আঁকড়ে ধরে অনীশ। তার ফল মিলল। এবারের মাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করল কাটোয়ার কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের ছাত্র অনীশ কোনার। ভালো ফল করার আশা থাকলেও মেধা তালিকায় থাকবে ভাবেনি অনীশ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। কোন বাঁধাধরা নিয়মে না পড়লেও পড়ার মধ্যেই বেশি থাকতে পছন্দ করত অনীশ। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে শরৎচন্দ্র রচনা সমগ্র পড়ে ফেলেছে। পড়ার মাঝে মাঝে নিয়ম করে ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসে। প্রিয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে প্রিয় দল চেন্নাই সুপার কিংস। অনীশ কোনারের প্রিয় বিষয় অঙ্ক। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছা। ছেলের সাফল্যে স্কুল ও পরিবারের সকলেই খুবই খুশি। মা তনুশ্রী কোনার বলেন, ছেলের সাফল্যে খুশি হলেও অনীশের বাবা বেঁচে থাকলে আরও আনন্দ হত। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সাফল্য বাবাকে উৎসর্গ করেছে অনীশ।
এদিকে পরীক্ষায় প্রত্যাশিত নম্বর না পাওয়ায় মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর আত্মঘাতী। কাটোয়ার পাঁচঘড়া গ্রামের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মঘাতী হয়েছে কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী পৌলমী ঘোষ( ১৬)। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪১৩ নম্বর পেয়েছে পৌলমী। টেস্ট পরীক্ষায় ৫৭৫ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিকে টেস্টের থেকে দেড়শোরও বেশি নম্বর কমে যাওয়ায় পৌলমী প্রচণ্ডভাবে ভেঙে পড়েছিল। বন্ধুদের সঙ্গে নম্বর কম পাওয়া নিয়ে পৌলমী আলোচনাও করেছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। পৌলমীর বাবা ব্যবসায়ী পুষ্পেন ঘোষ বলেন, আমি ছোট মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলাম সেসময় ফাঁকা বাড়িতে মেয়ে গলায় ফাঁস দেয়। কেন যে এতবড় সিদ্ধান্ত নিল!
❤ Support Us