- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ২২, ২০২৩
ঘটনাবহুল ম্যাচে ওটামেন্ডির গোলে ব্রাজিলকে হারাল আর্জেন্টিনা
ম্যাচ শুরুর আগেই বিপত্তি। গ্যালারিতে দাঙ্গা। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের বেধড়ক পেটায় পুলিশ। খেলা শুরু না করে ফেন্সিং টপকে গ্যালারির কাছে পৌঁছে যান লিওনেল মেসিরা। সমর্থকদের পাশে দাঁড়ান। ব্রাজিল পুলিশের আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে ড্রেসিংরুমেও ফিরে যান। ৩০ মিনিট পর আবার মাঠে ফিরে আসে আর্জেন্টিনা। অবশেষে খেলা শুরু হয়। আর এই ঘটনাবহুল ম্যাচে নিকোলাস ওটামেন্ডির গোলে ব্রাজিলকে হারাল আর্জেন্টিনা।
বুধবার ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকাতে এই মারাকানের স্টেডিয়ামেই ব্রাজিলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এদিন ব্রাজিলের কাছে ছিল বদলার ম্যাচ। তাই ম্যাচের উত্তেজনা ছিল চরমে। মাঠ ও মাঠের বাইরেও সেই উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ। ফুটবল খেলতে নয়, দুই দলের ফুটবলাররা যেন মারামারি করতেই মাঠে নেমেছিলেন এদিন। ম্যাচে অসংখ্য ফাউল, ঝুড়ি ঝুড়ি হলুদ কার্ড, একটা লাল কার্ড। ম্যাচের ২৫ মিনিটের মধ্যেই মাঠে গড়িয়ে পড়েন গোটা দশেক ফুটবলার।
ধারেভারে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু খেলায় তার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি। বরং ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিলের আধিপত্য বেশি ছিল। ছোট ছোট পাশে দ্রুতগতিতে আক্রমণে উঠে এসে আর্জেন্টিনা রক্ষণে বারবার ঝামেলা তৈরি করছিলেন রডরিগো, রাফানিয়া, জেসুসরা। আর্জেন্টিনার খেলায় কোনও পরিকল্পনার ছাপ দেখা যায়নি। আর ম্যাচের শুরু থেকেই লিওনেল মেসি ছিলেন চূড়ান্ত ফ্লপ।
ম্যাচের ২ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ব্রাজিলের সামনে। রাফিনিয়া অল্পের জন্য অফসাইডের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন। শুরু থেকেই ম্যাচের মেজাজ এতটাই চড়া মেজাজ ছিল যে, প্রথম ১৮ মিনিটের মধ্যেই ৮টি ফাউল করে বসে ব্রাজিল। লিওনেল মেসিকে ব্রাজিল ফুটবলাররা কড়া নজরে রেখেছিলেন। বলই ধরতে পারছিলেন না মেসি। আর্জেন্টিনার প্রথম আক্রমণ ২৬ মিনিটে। বল ধরে ব্রাজিল বক্সে ঢুকে গেলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি মেসি। ৩৭ মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল ব্রাজিলের সামনে। রাফিনিয়ার দুরন্ত ফ্রিকিক কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রাজিলের দাপট অব্যাহত ছিল। বেশ কয়েকবার আক্রমণ তৈরি করলেও আর্জেন্টিনার আঁটোসাঁটো রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। তবে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে মার্তিনেল্লির প্রয়াস আর্জেন্টিনা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ আটকে না দিলে এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। অবশেষে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। লো সেলসোর কর্নার থেকে হেডে গোল করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। এগিয়ে যাওয়ার পরপরই বদলে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তবে মেসি চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ায় ৭৮ মিনিটে তাঁকে তুলে নিয়ে অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়াকে মাঠে নামান আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। ম্যাচের ৮০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের জোয়েলিংটন। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্রাজিল। টানা তিন ম্যাচ হেরে লিগ টেবিলে ৬ নম্বরে ব্রাজিল। ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকার পর্বে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৬ ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েট ৭।
❤ Support Us