Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

বেইজিং এর সঙ্গে বাড়ছে দূরত্ব। মার্কিন আস্থা জয়ে, চিঠি দিয়ে ব্রিকসে না আর্জেন্টিনার নতুন রাষ্ট্রপতির

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বেইজিং এর সঙ্গে বাড়ছে দূরত্ব। মার্কিন আস্থা জয়ে, চিঠি দিয়ে ব্রিকসে না আর্জেন্টিনার নতুন রাষ্ট্রপতির

আর্জেন্টিনার নতুন রাষ্ট্রপতি, জাভিয়ের মাইলি, সম্প্রসারিত ব্রিকস ক্লাব অফ নেশনস-এ নিজেদের নথিভূক্ত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন।

এই বিষয়ে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নেতাদের কাছে একটি চিঠি লিখে জাভিয়ের মাইলি বলেছেন, সে দেশের পূর্ববর্তী সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি সংশোধন করা হচ্ছে।সেই সংশোধন নীতির অঙ্গ হিসেবে, এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনার ব্রিকসে নিজেদের নাম নথিভূক্ত করা থেকে বিরত থাকছে।

ব্রিকস দেশগুলিকে প্রায়শই পশ্চিমের নেতৃত্বাধীন বিশ্বের পাল্টা শক্তি হিসাবে দেখা হয়।আর্জেন্টিনা আগামী মাসে গ্রুপিংয়ে যোগদানের জন্য মনোনীত ছয়টি দেশের অন্যতম ছিল।১ জানুয়ারি ব্রিকস ক্লাবে মিশর, ইরান, ইথিওপিয়া, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যোগ দিতে পারে।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ভেঙ্গে পরা অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, নভেম্বরে ডানপন্থী নেতা জাভিয়ের মাইলি নির্বাচিত হন।তিনি বামপন্থী পেরোনিস্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের জায়াগায় স্থলাভিষিক্ত হন। তার এই জয়কে নাটকীয় উত্থান বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তার পরেই দেশটির মধ্যে ব্রিকসকে ঘিরে সে দেশের নীতিতে পরিবর্তন আসে। মাইলি তার চিঠিতে লিখেছেন, তাঁর সরকারের পররাষ্ট্র নীতি “আগের সরকারের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা”।তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার পূর্ণ ব্রিকস সদস্য হওয়ার এটা “উপযুক্ত” সময় নয়, তবুও তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে।

ফার্নান্দেজের সময় ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আর্জেন্টিনার নাম সুপারিশে সমর্থন জানিয়েছিল বেইজিং। অন্যদিকে মার্কিন ঘেঁষা মাইলি চিনের কঠোর সমালোচক।নিজের নির্বাচনী প্রচারেই কমিউনিস্ট এবং চিনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন নব নর্বাচিত রাষ্ট্রপতি।

আর্জেন্টিনা  ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে, গত বছরের তুলনায় সে দেশে জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫০% । নগদ মজুতে ঘাটতি এবং চড়া সুদে ঋণের সঙ্গেও লড়াই করতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশের জনসংখ্যার ৪০% দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করছে।  সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাইলির প্রশাসন ইতিমধ্যেই সে চিত্রে বদল আনতে প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

বাহ্যিকভাবে, ব্রিকস সদস্যভূক্ত ব্রাজিল এবং চিন আর্জেন্টিনার দুই বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বেশি পিছিয়ে নেই।এই তিন দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট অতিক্রম করতে চাইছেন জাভিয়ের মাইলি।পাশাপাশি আর্জেন্টিনার পেসোকে মার্কিন ডলার দিয়ে প্রতিস্থাপন করার চিন্তা ভাবনাও শুরু করেছে তাঁর সরকার।ফলে একদিকে জিনপিং প্রশাসনের সঙ্গে যেমন তাঁদের দুরত্ব বাড়বে, তেমনি ওয়াশিংটন নির্ভরতা বাড়বে বুয়েনোজ অ্যাইরেসের।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!