Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • জুন ১৩, ২০২৪

মিলেইয়ের অর্থনৈতিক সংস্কারের বিরোধিতায় আর্জেন্টিনায় গণ-বিক্ষোভ।পুলিশ জনতা সংঘর্ষে আহত ১৬

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মিলেইয়ের অর্থনৈতিক সংস্কারের বিরোধিতায় আর্জেন্টিনায় গণ-বিক্ষোভ।পুলিশ জনতা সংঘর্ষে আহত ১৬

অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে উত্তাল আর্জেন্টিনা। রাজধানী বুয়েনস এয়ারসের রাজপথে তুমুল বিক্ষোভ। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তারক্ষীরা কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ছোড়েন। ব্যবহার করা হয় জলকামানও। ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই–এর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে সেনেটে বিতর্ক চলছিল। সেই সময় সেনেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সংস্কারবিরোধীরা। তারা সেনেট ভবনের বাইরে দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রাচীর টপকে সেনেট ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৯ জন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে।

নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন কট্টর ডানপন্থী নেতা জাভিয়ের মিলেই। ক্ষমতায় আসার পর তিনি অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেন। অর্থনৈতিক সংস্কারের বিল নিয়ে সেনেটররা বিতর্ক তৈরি করেন। তাঁরা মূল বিলটি প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর এপ্রিলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্যরা বিলে পরিবর্তন নিয়ে আসেন। সেনেটে বিলটি ৩৬–৩৬ ভোটে আটকে ছিল। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়ারুয়েল ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বিল অনুমোদন করান।

বিতর্কিত এই বিলের মাধ্যমে মিলেই দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে জাগ্রত করতে চাইছেন। সংস্কারের মাধ্যমে আর্জেন্টিনায় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। সরকারি পেনশন হ্রাস এবং শ্রম অধিকার আইনে পরিবর্তন করা হবে। কেন্দ্রীয় স্থানগুলির কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট মিলেইকে ক্ষমতা দেওয়া, রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থাসহ কয়েক ডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া। এইসব সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে দেশের বিরোধীদল, শ্রমিক সংগঠন এবং সামাজিক সংস্থাগুলো। সেনেটে আলোচনায় বিরোধী আইন প্রণেতারা দাবি করেছেন যে, এই সব সংস্কার আর্জেন্টিনার অগ্রগতিকে কয়েক দশক পিছিয়ে দেবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!