Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ৪, ২০২৪

ভারত–চীন সীমান্ত সমপর্ক নিয়ে লোকসভায় বিবৃতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ভারত–চীন সীমান্ত সমপর্ক নিয়ে লোকসভায় বিবৃতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে পরিস্কার ও স্বচ্ছনীতি না থাকলে সম্পর্ক কখনও স্বাভাবিক হবে না। সমস্যা মেটাতে চীনের সঙ্গে আলোচনা বজায় রাখবে ভারত। মঙ্গলবার সংসদে এক বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, দুই দেশের কাছেই গ্রহণযোগ্য নীতির ভিত্তিতে সীমান্ত সমস্যার সমাধান চায় ভারত।
সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‌সীমান্তে সমঝোতার জন্য স্বচ্ছ ও পরস্পরের কাছে গ্রহণযোগ্য পরিকাঠামো গড়তে চাই। এই ব্যাপারে চীনের সঙ্গে আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে তৈরি। সরকার বারবার জানিয়েছে, ভারত–চীন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা প্রতিষ্ঠা না হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কখনও স্বাভাবিক হবে না। সীমান্তে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। একে অপরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ, পরিষ্কার না হলে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়। দুটি দেশের মধ্যে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য পরিকাঠামো গড়ার মাধ্যমেই তা সম্ভব।’‌
জয়শঙ্কর আরও জানান, ‘‌চীনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য ভারত তিনটি নীতি অবলম্বন করবে। এক, উভয় দেশেরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে সম্মান জানাতে হবে এবং তা মেনে চলতে হবে। দুই, কোনও দেশেরই একক ভাবে স্থিতাবস্থা বদলে ফেলা উচিত নয়। তিন, অতীতে যে সব চুক্তি বা সমঝোতা দুই দেশের মধ্যে রয়েছে, তা পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। পূর্ব লাদাখে ধাপে ধাপে গোটা এলাকায় সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ডেপস্যাং এবং ডেমচক থেকে সেনা সরানোর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’‌
ভারতের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‌তবে দুই দেশকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সম্মান করতে হবে। সীমান্ত এলাকায় স্থিতাবস্থা যেন পালটে না ফেলা হয়।’‌ সম্প্রতি সীমান্তে সমস্যা মেটাতে দুই দেশই উদ্যোগী হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন থাকা সেনা সম্প্রতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুই দেশই। ২০২০ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার গালওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চীনা সেনার সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর জন্য চীনের কার্যকলাপকেই দায়ী করেন এস জয়শঙ্কর।
তিনি বলেন, ‘‌তিনি বলেন, ‘‌২০২০২ সালের এপ্রিল–মে মাসে পূর্ব লাদাখের কয়েকটি জায়গায় চীন বিপুল সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করেছিল চীন। তাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে, এই অবস্থায় শুধু যে মৃত্যু হতে পারে তাই নয়, এর মোকাবিলায় সীমান্তে শক্তিশালী অস্ত্রের সম্ভার রাখাটাও জরুরি। তবে দুই দেশের মধ্যে অবিরত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সম্প্রতি ভারত–চীন সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’‌ ভারত–চীন সম্পর্কের উন্নতিতে ভারতীয় সেনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!