Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা স | হ | জ | পা | ঠ
  • আগস্ট ২৪, ২০২৩

বিক্রমের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হল রোভার প্রজ্ঞান, টুইট করে জানাল ইসরো! ১৪ দিন চন্দ্রানুসন্ধান চালাবে প্রজ্ঞান!

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিক্রমের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হল রোভার প্রজ্ঞান, টুইট করে জানাল ইসরো! ১৪ দিন চন্দ্রানুসন্ধান চালাবে প্রজ্ঞান!

চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ইসরোর ৪০ দিনের অভিযানকে সফল্য এনে দিয়েছে সে। এবার বিক্রমের গর্ভ থেকে বেরিয়ে এল রোভার প্রজ্ঞান। বিক্রমের অবতরণের ১৪ ঘণ্টা পর এক্স হ্যান্ডলের মধ্যমে এই খবর পোস্ট করে জানাল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। যেমন পরিকল্পনা ছিল, ঐিক তেমন ভাবেই বিক্রমের পেটের কাছের দরজাটি খুলে গেল এবং সেখান থেকে ঢালু পথ বেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে ক্রমেই আস্তে আস্তে বাইরে বেরিয়ে এল প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে এই রোভারই কাজ করবে। প্রজ্ঞানের এই চাঁদের মাটিতে নেমে কাজ করাকে ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, “চাঁদে হাঁটল ভারত।”

ছ’টি চাকা আছে প্রজ্ঞানের। এই চাকার গতি সেকেন্ডে মাত্র এক সেন্টিমিটার। ছয় চাকায় ভর করে এই গতিতেই চাঁদের বুকে অবাধে দাপিয়ে বেড়াবে প্রজ্ঞান। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, চাঁদে আসল কাজটা  প্রজ্ঞানই করবে।

গতকাল বিক্রম যখন সবে চাঁদে নেমেছে, তখন সেখানে সবেমাত্র ভোর হয়েছে। তবে ভোরের আলো ফোটার কিছু পরেই বিক্রমের দরজা খুলে গিয়েছে। আর তার পরেই বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে চাঁদের মাটিতে নেমেছে প্রজ্ঞান। আগামী ১৪ দিন রোভারটি চাঁদে অনেক কাজ করবে। এই রোভারটির শক্তির উৎস সূর্য। সোলার পাওয়ারেই গুটি গুটি পায়ে হাঁটাচলা করবে প্রজ্ঞান। চাঁদে সূর্য ডুবে গেলে প্রজ্ঞানেরও কাজ শেষ। কারণ, সূর্যের আলো না থাকলে তার কোনও শক্তি আর অবশিষ্ট থাকবে না।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, হিসাব মতো, চাঁদে এক দিন সম্পূর্ণ হতে পৃথিবীর হিসাবে সময় লাগে প্রায় ২৮ দিন। অর্থাৎ, চাঁদের একটা বেলা পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। এই ১৪ দিনই চাঁদে কাজ করতে পারবে প্রজ্ঞান। কেন না আর একবেলা, অর্থাৎ বাকি ১৪দিন থাকবে না সূর্যের আলো। এই হিসাবেই সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন  ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

একাধিক দিকনির্দেশক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা রয়েছে প্রজ্ঞানের সঙ্গে। ওই ক্যামেরায় ছবি তুলে চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাবে এই প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটিতে এই প্রজ্ঞানই এঁকে দেবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং ইসরোর লোগো। প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে যা যা তথ্যসংগ্রহ করবে, তার সব কিছুই পাঠিয়ে দেবে ল্যান্ডার বিক্রমে। বিক্রম প্রজ্ঞানের কাছ থেকে পাওয়া সেই বার্তা পাঠিয়ে দেবে পৃথিবীতে।

চাঁদের মাটির উপাদান, ভূমিরূপ সব খতিয়ে দেখবে প্রজ্ঞান। এই কারণে বহু বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নিয়ে চাঁদে নেমেছে প্রজ্ঞান।  আগামী দু’সপ্তাহ ধরে স্পেকট্রোমিটার বিশ্লেষণের মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে, তা খুঁজে দেখবে প্রজ্ঞান। ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে পাঁচটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি রয়েছে এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে পৃথিবীতে রিপোর্ট পাঠান হবে। ১৪ দিন ধরে চলবে প্রজ্ঞানের এই চন্দ্রানুসন্ধান।


  • Tags:
❤ Support Us
Advertisement
error: Content is protected !!