- দে । শ
- মে ৩০, ২০২৩
বিবাদ মিটিয়ে যৌথ লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি । অশোক, শচীনের সঙ্গে বৈঠকের পর দাবি কংগ্রেস হাইকমান্ডের

অশোক গেহলট ও শচীন পাইলটের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে শেষ পর্যন্ত শান্তি চুক্তি স্থাপন করতে পারলেন রাহুল গান্ধি ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। সোমবার দিল্লির এআইসিসি সদর দফতর দিল্লিতে চার ঘন্টার বৈঠকে এই সমাধান সূত্র বার হয়েছে। রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন এই বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা রয়েছে। এই আবহে কংগ্রেস ওই রাজ্যে দলীয় কোন্দল মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছিল। রাজ্যের ঘূর্ণায়মান এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রবণতার বিরুদ্ধে দলকে সংঘবদ্ধ করার জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল কংগ্রেস। আর এই কারণেই সোমবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ও গেহলটের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী শচীন পাইলটকে রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দিল্লিতে আলোচনার জন্য ডেকে বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই উভয় নেতা এক সঙ্গে চলার কথা জানান বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
চার ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে জানা গেছে, অশোক গেহলট এবং শচীন পাইলট সর্বসম্মতভাবে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সিদ্ধান্তটি হাইকমান্ডের উপর তাঁরা ছেড়ে দিয়েছেন। চার ঘন্টার বৈঠকের পরে দলের সিনিয়র নেতা কেসি ভেনুগোপাল এই কথা জানিয়েছেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এটা অশোক-শচীন ‘শান্তি চুক্তি’ বলে বর্ণনা করা হলেও দায়িত্ব ভাগের বিষয়ে বিশদে দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রকাশ্যে অশোক গেহলট ও শচীন পাইলটের বিবাদ চলছে। অবশেষে সেই বিবাদের নিস্পত্তি হল বলে কংগ্রেস সূত্রের দাবি।
তিন বছর আগে, শচীন পাইলটের বিদ্রোহ শুরু এবং তখন তিনি দলকে একটি ধাক্কা দিয়েছিল, কারণ এই সময় অশোক গেহলটকে দলের জাতীয় প্রধানের পদে নির্বাচনে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। শচীন পাইলট অশোক গেহলটের স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন গুঞ্জনের পরে ৭০ জনের বেশি বিধায়ক গেহলটের পক্ষে চলে যান এবং তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে অস্বীকার করেন।
সোমবারের বৈঠকটি রাজস্থানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতার মধ্যে একটি মাঝামাঝি অবস্থান খোঁজার লক্ষ্যেই হয়েছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে সিদ্দারামাইয়া-দিকে শিবকুমারের সঙ্গে যে মধ্যবর্তী অবস্থান নেওয়া হয়েছে সেই পথই সোমবারের বৈঠকে অবলম্বন করেন রাহুল-খাড়গে।
বৈঠকে শচীন পাইলট একাধিক দাবি করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে তাঁর দলের সরকার রাজ্যে বিজেপি শাসনাকালে ঘটে যাওয়া ঘটনার তথ্য ফাঁস করা বিষয়ক কেলেঙ্কারির ব্যবস্থা নেওয়া অন্যতম। অশোক গেহলট বিরোধী দলে থাকাকালীন বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “সাড়ে চার বছর পূর্ণ হয়েছে কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি এবং অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” তিনি কংগ্রেসকে জানিয়ে রেখেছেন যে এই মাসের শেষের মধ্যে যদি এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে তিনি রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করবেন।
শচীন পাইলট দলের কাছে আরও বলেন, এই দাবি নিয়ে আমি “আমি জয়পুরে অনশনে গিয়েছিলাম, কিন্তু যখন দেখলাম এর ফলে কিছুই হচ্ছে না, তখন আমার মনে হয়েছিল যে এখন আমাকে জনসাধারণের মধ্যে যেতে হবে এবং আমি তখন জনসংঘর্ষ যাত্রা বের করেছি। এটা যদি শচীন পাইলটের হুমকি হয়, তবে এটি নিঃসন্দেহে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের কাছে একটি বড় আঘাত হিসেবে নেমে আসবে। কেননা রাজ্য নির্বাচন থেকে মাত্র কয়েক মাস দূরে এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে।
❤ Support Us