- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- আগস্ট ৩১, ২০২৩
দুরন্ত সেঞ্চুরি বাবর ও ইফতিখারের, নেপালকে ২৩৮ রানে উড়িয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু পাকিস্তানের

দীর্ঘদিন ধরেই বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা চলে আসছে বাবর আজমের। কে সেরা, তা তর্কের বিষয়। পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা বাবর আজমকেই এগিয়ে রাখেন। বিরাট কোহলির কাছাকাছি পৌঁছতে গেলে বাবর আজমকে অনেকটা পথ যেতে হবে, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে ২ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান মহারণের আগে বিরাট কোহলিকে চাপে রাখলেন বাবর আজম। নেপালের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি পাকিস্তান অধিনায়কের। মারকাটারি ব্যাটিং করলেন ইফতিখার আমেদও। এই দুই ব্যাটারের দাপটে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল পাকিস্তান।
মুলতানে টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান ওঠার ফাঁকেই আউট হন দুই ওপেনার ফখর জামান (২০ বলে ১৪) ও ইমাম–উল–হক (১৪ বলে ৫)। এরপর মহম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান বাবর আজম। ৫০ বলে ৪৪ রান করে আউট হন রিজওয়ান। ৫ নম্বরে নামা আগা সলমানও (৫) রান পাননি।
এরপর ইফতিখার আমেদকে নিয়ে ঝড় তোলেন বাবর আজম। এই দুজনের জুটিতে ওঠে ২১৪। এই জুটিই পাকিস্তানকে ৩০০ রানের গন্ডি পার করে দেয়। ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওভারে আউট হন বাবর। তাঁর ১৩১ বলে তিনি করেন ১৫১ রান। মারেন ১৪টি ৪ ও ৪টি ৬। ৭১ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার আমেদ। তিনি মারেন ১১টি ৪ ও ৪টি ৬। নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাকিস্তান তোলে ৩৪২/৬।
নেপালের মতো দুর্বল দলের পক্ষে এই রান তোলা অসম্ভব ছিল। তার ওপর প্রথম ওভারেই কুশল ভুরতেল (৮) ও রোহিত পাওদেলকে (০) তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। পরের ওভারে আসিফ শেখকে (৫) ফেরান নাসিম শাহ। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে নেপাল। মিডল অর্ডারে কিছুটা লড়াই করেন আরিফ শেখ (২৬) ও সোমপাল কামি (২৮)। এই দুজনকে তুলে নেন হ্যারিস রউফ (২/১৬)। শেষদিকে নেপালের ইনিংসে ভাঙন ধরান শাদাব খান (৪/২৭)। শেষ পর্যন্ত ২৩.৪ ওভারে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল। ম্যাচের সেরা হন বাবর আজম।
❤ Support Us