- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুলাই ১৩, ২০২৪
বন্যায় কাজিরাঙ্গায় মৃত ১০ একশৃঙ্গী গন্ডারসহ ১৭৪ বন্যপ্রাণী ।অসমে বন্যাকবলিত ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষ

অসমের বন্যায় রাজ্যের অন্যতম গর্বের প্রতীক কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ইতিমধ্যে বন্যায় ১৭৪ টি বন্য প্রাণী মারা গিয়েছে, যার মধ্যে ১০ টি একশৃঙ্গী গণ্ডারও রয়েছে।এবার বনদপ্তর তৎপর থাকায় ১৫৩টি পশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।। কাজিরাঙ্গার মূল খ্যাতি এই একশৃঙ্গীদের সৌজন্যে। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় নাম রয়েছে এই অসমের গোলাঘাট ও নগাঁও জেলার অন্তর্গত এই অভয়ারণ্যের।
অভয়ারণ্যের ডিরেক্টর সোনালী ঘোষ জানিয়েছেন, ১,০৯০ বর্গ কিলোমিটারের এই অভয়ারণ্যে ২০১৭-২৩ সালে একাধিক বন্যা হলেও এবার জলস্তর সবথেকে বেশি। জোরহাটের নিমাটিঘাটে এবার জলের উচ্চতা বেড়ে হয়েছিল ৮৭.৪৭ মিটার। যা ২০১৭ সালে হয়েছিল ৮৭.২৭ মিটার।
শুধু গণ্ডার নয়, বেশ কিছু হগডিয়ার বন্যার জলে ডুবে মারা গেছে, কিছু রাস্তায় উঠে আসার কারণে যানবাহনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে অসমের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। যদিও বেশ কিছু এলাকায় আগের থেকে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যে সারা রাজ্যে ৯০ জন বাসিন্দা বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা কবলিৎ এলাকায় আটকে রয়েছেন প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ। নেমাটিঘাট, তেজপুর, ধুবড়ির মতো জায়গায় ব্রহ্মপুত্র এখনও বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে । এছাড়া, বুরহিডিহিং নদী, দিসাং নদী, কুশিয়ারা নদীর জলও বিপদসীমা ছাপিয়ে গেছে।।গোয়ালপাড়ায় নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটেছে । হাজার হাজার এলাকা জলে ডুবে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত অসমের ২৪টি জেলার ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। ২,৪০৬টি গ্রাম জলের নিচে চলে গেছে। ৩২ হাজার হেক্টরেরও বেশি চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। । অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এএসডিএমএ) উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে।
❤ Support Us