Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • অক্টোবর ২৭, ২০২৩

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন : মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় হাতে রেখে তেলেঙ্গানায় কি চমক দিতে চলেছে কংগ্রেস? নিয়ম মেনে রাজস্থানে কি বদলে যাবে সরকার? কি হবে মিজোরামে ?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন : মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় হাতে রেখে তেলেঙ্গানায় কি চমক দিতে চলেছে কংগ্রেস? নিয়ম মেনে রাজস্থানে কি বদলে যাবে সরকার? কি হবে মিজোরামে ?

চলতি মাসের ৯ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচন কমিশন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে।  এই পাঁচ রাজ্য হল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজোরাম। এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে ২০২৪ -এর লোকসভা নির্বাচনের প্রারম্ভিক রাজনৈতিক পর্ব বললে অত্যুক্তি হবে না। এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল আভাস দেবে লোকসভা নির্বাচনের হাওয়া কোন দিকে বইতে চলেছে।  তাই এই পাঁচ রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে  কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি সহ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শাসক দলগুলি। এই  রাজ্যগুলির মধ্যে মিজোরাম বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ১৭ ডিসেম্বর। বাকি রাজ্যগুলিতে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ডিসেম্বরের বিভিন্ন তারিখে।

মধ্যপ্রদেশে এক দফায় ভোট হতে চলেছে ১৭ নভেম্বর। রাজস্থানের সব ক’টি বিধানসভায় ভোট হবে এক দফাতেই, ২৩ নভেম্বর। তেলঙ্গানায় ভোট হবে ৩০ নভেম্বর। মিজোরামেও এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে ৭ নভেম্বর। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে শুধুমাত্র  ছত্তিশগড়েই  দু’দফায় ভোট হবে। ৭ নভেন্বর হবে প্রথম দফার ভোট  এবং দ্বিতীয় দফার ভোট হবে  ১৭ নভেম্বর। সব রাজ্যের ভোটের ফলঘোষণা হবে ৩ ডিসেম্বর। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হবে।

কংগ্রেস, বিজেপি-সহ প্রতিটি রাজ্যের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলই পাঁচ রাজ্যের এই ভোটকে লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল ধরেই  লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে। ভোটের ফলাফল যা-ই হোক, তা লোকসভা ভোটের ফলকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

পাঁচ রাজ্যের আসন্ন এই নির্বাচনকে এনডিএ এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে শক্তির পরীক্ষা হিসেবে দেখাটা যে সব দিক থেকে সঠিক তা হয়তো নয়।  বিষয়টি একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা উচিত। জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউ, শিবসেনা, অকালি দল এবং এআইএডিএমকে-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলি জোট ছেড়ে যাওয়ার পর পুরনো এনডিএর অস্তিত্ব এখন আর আর নেই। এনডিএ-তে বাস্তবিক রাজনৈতিক দল বলতে অবশিষ্ট আছে শুধুই বিজেপি। এনডিএ-র অন্যান্য দলের মধ্যে একটির বেশি দলের নাম বেশিরভাগ লোক এখন এক ঝলকে বলতে পারবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। তাই আসল কথা হচ্ছে এখন বিজেপির অন্য একটি নাম হল এনডিএ, এটা  বলা যেতেই পারে !
অন্যদিকে,‘ইন্ডিয়া’ জোট কিন্তু তুলনাত শাক্তশালী অন্তত শরিক দলের সংখ্যার নিরিখে। কিন্তু নভেম্বরে যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হতে চলেছে সেখানে আসল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী একজনই, তার নাম কংগ্রেস। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে সরাসরি লড়াই হবে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। তেলেঙ্গানার শাসক দল বিআরএস দাবি করে, তাদের লড়াই কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় দলের বিরুদ্ধে। আবার মিজোরামে লড়াইয়ের ছবিটা একদমই আলাদা। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে লড়াইটা এবার চতুর্মুখী, তিনটি আঞ্চলিক দল এবং কংগ্রেসের মধ্যে মিজোরামে এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই হবে। এই খেলায় আড়ালে আছে বিজেপি।
তাই হয়তো সম্প্রতি রাহুল গান্ধি মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মিজোরামে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট আরএসএস-বিজেপিকে এই রাজ্যে প্রবেশের রাস্তা করে দিতে চাইছে, সংঘ পরিবার এই বিষয়টিকে কাজে লাগাতে সচেষ্ট। তাই মিজোরামের মানুষের কাছে আবেদন সংঘ পরিবার ও গেরুয়া শিবিরে এই প্রচেষ্টা বানচাল করে দিন। মিজোরামের নির্বাচন এবার মিজোরামের ধারণা প্রতিষ্ঠার নির্বাচন। মিজোরামের মানুষের স্বাধীনতা, ঐতিহ্য ও সম্প্রদায়কে রক্ষা করার নির্বাচন।

তাই পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনটি হতে চলেছে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে শক্তির পরীক্ষার লড়াই। বিজেপি প্রথমেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সক্রিয় করেছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে। রাজস্থানে এজেন্সী সক্রিয় হয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আসরে নেমে পড়েছে। বিজেপি কোনও রাজ্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম আগাম জানায়নি। লড়াইয়ের মুখ সর্বত্র একজনকেই রেখেছে, তিনি হলেন নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদিই এই পাঁচ রাজ্যের বেশিরভাগ নির্বাচনী জনসভার মুখ্যভাষ্যকার ছিলেন। কেন্দ্রীয় শাসক দল দেদার টাকা ঢালছে পাঁচ রাজ্যে ভোট জেতার জন্য। এছাড়াও বিরোধীদের ভয় দেখাবার জন্য, দল ভাঙাবার জন্য সেই  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দেওয়ার খেলা তো আছেই।

জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা মাত্র বিজেপি যেমন পাঁচ রাজ্যে সব প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি, কংগ্রেস কোনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে। কংগ্রেস বিজেপিকে এই ক্ষেত্রেটিকে বিজেপি-র  দুর্বলতা বলে কটাক্ষ করেছে, তেমন মানতেই হবে এটা কংগ্রেসেরও অবশ্যই একটি দুর্বলতা।

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। এই রাজ্যগুলির জন্য হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের পরীক্ষিত সাম্প্রতিক অবস্থানই অনুসরণ করেছে কংগ্রেস। নির্বাচনী প্রচার পরিচালিত হয়েছে রাজ্যের নেতাদের কাজে লাগিয়েই। সেই সঙ্গে জাতীয় নেতৃত্ব প্রচারে ছিলেন রাজ্য নেতৃত্বের সহায়কের ভূমিকায়।

২০১৮ সালের এই পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল যে, বিজেপি সব জায়গাতেই হেরেছিল। আজ রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে সরকারে রয়েছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে দলত্যাগের সুযোগ নিয়ে অন্যের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে  নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, মিজোরাম ও তেলেঙ্গানায় সরকারে রয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য দল। তাই পাঁচটি রাজ্যের জন্য কোনও অভিন্ন পরিস্থিতি নেই। প্রতিটি রাজ্যে প্রতিটি দলের জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা তাই আলাদাভাবে বিচার করতে হবে।
নির্বাচনে কোন দল জিতবে সেটা নিয়ে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী কোনওদিন কাজে আসেনি। বাস্তব পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে সেটা নির্ধারিত হয়। সেই বাস্তব তথ্য এবং বিভিন্ন রকমের সংবাদ একত্রিত করে প্রাথমিক মূল্যায়ন করা যায় এবং এই মূল্যায়ন অনেক সময় মিলেও যে যায় না সেটাও নয়।

প্রথমে ছত্তিশগড় রাজ্যের প্রসঙ্গে আসা যাক। এই রাজ্য প্রয়াত অজিত যোগী ২০০০-২০০৩ সাল পর্যন্ত, রমন সিং ২০০৩-২০১৮ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ভূপেশ বাঘেল ২০১৮ থেকে এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আছেন। রাজ্যের মানুষ তিনজন মুখ্যমন্ত্রীকেই দেখেছে। তাই এই রাজ্যে অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি বা প্রতিষ্ঠান বিরোধি সমস্যার মুখে পড়তে হবে এমন আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। ছত্তিশগড় একটি শীর্ষস্থানীয় ধান উৎপাদনকারী রাজ্য হয়ে উঠেছে এবং ওই রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক অবস্থা অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে এখন অনেক ভালো। এই সঙ্গে  বাঘেল সরকার বহু কল্যাণমূলক প্রকল্প রূপায়ণ করেছে এবং সেখানে জনজাতির মানুষের উত্থানের দিকটি তাঁর সরকার দেখেছে। এবার ক্ষমতা চলে যাবে আদিবাসী ও ওবিসিদের হাতে। তবে এটাই সাধারণ অনুমান যে, মানুষ ফের কংগ্রেসকেই এই রাজ্যে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে চলেছে।  বিজেপিও এই মতের বিরুদ্ধে সম্ভবত নয়।

মধ্যপ্রদেশে বিজেপি যে পিছনের দরজা দিয়ে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দিয়ে বিজেপির সরকার তৈরী করেছিল সেটা রাজ্যের মানুষ ভুলে যায়নি। মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ মানুষকে এই সত্যটি মনে করিয়েছে নির্বাচনী প্রচারে যে বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে পিছনের দরজা দিয়ে, জনগণের রায়কে নির্মানভাবে বানচাল করে তারা রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখল করেছে, দলত্যাগ আইনের ফাঁকগুলোকে কাজে লাগিয়ে। তাই ২০২০ সালে এই রাজ্যে বিজেপির বিশ্বাসঘাতকতা ২০২৩ সালে মানুষ ভুলে গিয়েছে বলে মনে হয় না। শিবরাজ সিং চৌহান একজন বর্ষীয়ান নেতা হলেও ক্লান্ত। বিজেপি নেতৃত্ব নানাভাবে ইঙ্গিতও দিয়েছে যে, তারা এই মুখটির উপর ইতিমধ্যেই আর আস্থা রাখতে পারছে না । ফলে, একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ অনেক নেতারই হৃদয়ে বিজেপি জ্বালিয়ে দিয়েছে উচ্চাকাঙ্ক্ষার আগুন। ২০০৩ সালের ডিসেম্বর থেকে মাঝের ১৫ মাসের সামান্য একটি পর্ব বাদ দিলে বিজেপি ওই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। ইঙ্গিত এটাই যে, মধ্যপ্রদেশে পরিবর্তনের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। পালা বদল শুধু সময়ের অপেক্ষা।

১৯৯০ সাল থেকে রাজস্থান রাজ্যে দলীয় সরকার পরিবর্তনের একটি ইতিহাস রয়েছে। মনে হচ্ছে, অশোক গেহলটের নেতৃত্বে কংগ্রেস সেখানে ঘর গুছিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বলা বাহুল্য, গেহলটের সরকার বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প রূপায়ণের সুন্দর একটা ব্যবস্থাও করেছেন মরু রাজ্যে। রাজস্থানে বিজেপির এখন দশা খুব একটা ভালো নয়। এই রাজ্যের বিজেপির ছন্নছাড়া দোষ কারও নজর এড়িয়ে যেতে পারে না। বসুন্ধরা রাজে এবং তাঁর গোষ্ঠীর লোকজনকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। এই রাজ্যের বিজেপির এলোমেলো অবস্থার এটাই একটা কারণ। এই পরিস্থিতির উপর সকলের নজর থাকবে। নির্বাচনে এই প্রভাব পড়বে সেটাই বাস্তব।

বিজেপিকে তিন নম্বরে পাঠিয়ে দিয়ে তেলেঙ্গানা রাজ্যটি মস্তবড় চমক দিয়েছে। কংগ্রেস কর্মসমিতির বা সিডব্লুসির  বৈঠকের পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর, তুক্কুগুড়ায় আয়োজিত সমাবেশটি ছিল তেলেঙ্গানায় বহু বছরের মধ্যে হওয়া কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় জনসভা। সমাবেশের চেহারার চেয়েও বেশি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় ছিল সমবেত জনতার প্রায় ৪০ শতাংশ ছিল তরুণ অর্থাৎ যাদের বয়েস ১৫-২৯ বছরের মধ্যে, এটা কম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয় নয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই একমত যে, কংগ্রেস তেলেঙ্গানায় তার হারানো জায়গা ফিরে পেয়েছে। সেখানে এবারের লড়াইটা হতে চলেছে মূলত বিআরএস ও কংগ্রেসের মধ্যে। তাহলে কি ধরে নেওয়া যায় তেলেঙ্গানার বিধানসভার নির্বাচনী ফল একটি বড় চমক দিতে চলেছে !

মিজোরামে লড়াই হবে আঞ্চলিক দলগুলিরই মধ্যে। মিজোরামে কংগ্রেসের নতুন নেতার নাম লালসাওতা। এই লড়াইয়ে বিজেপি একেবারে অপ্রাসঙ্গিক। মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ও তাঁর পার্টি খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মণিপুর সঙ্কট এবং কুকিদের মিজোরামে উঠে আসার ঘটনাটিকে ব্যবহার করেছে। কুকি-জোমি সম্পর্ক এবং তা নিয়ে গর্ববোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানে। ফলে ভোট ভাগ হয়ে যাবে এবং আরও একটি জোট সরকারই সেখানে ভবিতব্য। তবে রাজুল গান্ধি মিজোরামে জয়ের আশা প্রকাশ করে মিজোরামবাসীদের সতর্ক করে বলেছেন, এবারের মিজোরামের নির্বাচন মিজোরামের মানুষের স্বাধীনতা, মর্যাদা, সম্প্রদায়কে রক্ষা করার নির্বাচন। কোনও ভাবেই যাতে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের হাত ধরে বিজেপি-আরএসএস মিজোরামে প্রবেশ করতে না পারে সেই চেষ্টা বানচাল করতে রাজ্যের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে রাহুল গান্ধি।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!