Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩

সম্মান পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল, টানা ৮ ডার্বি জিতে রেকর্ড মোহনবাগানের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সম্মান পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল, টানা ৮ ডার্বি জিতে রেকর্ড মোহনবাগানের

শনিবারের ডার্বি ইস্টবেঙ্গলের কাছে ছিল সম্মান পুনরুদ্ধারের। অন্যদিকে, এটিকে মোহনবাগানের কাছে তিন পয়েন্ট পাওয়াটা জরুরি ছিল লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করার জন্য। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত এটিকে মোহনবাগানের। আইএসএলে কলকাতা ডার্বিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল সবুজ মেরুণ ব্রিগেড। জিতল ২–০ ব্যবধানে। দুই গোলদাতা স্লাভকো ডামজামোভিচ ও দিমিত্রি পেত্রাতোস। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএলের লিগ টেবিলের ৩ নম্বরে শেষ করে ঘরের মাঠে প্লে অফ খেলার সুযোগ পেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ১৯২৮ সালের পর এই প্রথম কোনও লিগে ১৩টি ম্যাচে হারল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, টানা ৮ ডার্বিতে জয়ের রেকর্ড এটিকে মোহনবাগানের।

এদিন শুরু থেকেই গতিময় ফুটবল খেলে দুই দল। ৪ মিনিটে সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন আশিক কুরুনিয়ান। তাংর সেই শট বাইরে যায়। ১২ মিনিটে আবার সুযোগ। লালচুংনুঙ্গা বক্সের বাইরে ফাউল করেছিলেন আশিক কুরুনিয়ানকে। ঠিক ডি বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় এটিকে মোহনবাগান। পেত্রাতোসের শট বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ১৩ মিনিটে প্রথম এটিকে মোহনবাগান গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সুহেরের শট সরাসরি বিশাল কাইথের হাতে চলে যায়।

এটিকে মোহনবাগানের দাপট থাকলেও মাঝে মাঝে প্রতিআক্রমণে উঠে আসছিল ইস্টবেঙ্গল। ২৮ সুহেরের মাইনাস বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় পেয়ে গিয়েছিলেন মহেশ সিং। তাঁর শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ৩৩ মিনিটে সুহের আরও একটা দুর্দান্ত সেন্টার করেছিলেন। ক্লেইটন মাথা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতেন। ১ মিনিট পরেই আশিস রাইয়ের ডানপায়ের দুর্দান্ত শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিৎ সিং।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে জুয়ান ফেরান্দোর দল। ৫২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। আশিক কুরুনিয়ানের ডিফেন্স চেরা থ্রু বক্সের মধ্যে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন পেত্রাতোস। এগিয়ে এসে গোলমুখ ছোট করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিৎ। পেত্রাতোসের বাঁপায়ের শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। ৬১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন জেক জার্ভিস। কিন্তু সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও তিনি জালে বল রাখতে পারেননি। জার্ভিসের শট বাইরে যায়।

৬৮ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। দিমিত্রি পেত্রাতোসের কর্ণার বক্সের মধ্যে পড়তেই ব্যাকহিল করেন মনবীর। বল মাটিতে পড়ে লাফিয়ে উঠতেই হেড করেন স্লাভকো ডোমিয়ানোভিচ। বল পোস্টে লেগে ফিরতেই ডানপায়ের ফ্লিকে জালে পাঠান স্লাভকোই।

পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল এটিকে মোহনবাগান বক্সে। কিন্তু তিনকাঠি ভেদ করতে পারছিল না। শেষ দিকে আক্রমণে তেজ বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। ৮৯ মিনিটে প্রতি আক্রমণে ব্যবধানও বাড়ায়। পরিবর্ত হিসেবে নামা কিয়ান নাসিরির শট ঝাঁপিয়ে আংশিক প্রতিরোধ করেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিৎ। ফিরতি বলে ২–০ করেন পেত্রাতোস।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!