Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • মার্চ ১৮, ২০২৩

আরব সাগরের তীরে উড়ল সবুজ-মেরুণ বিজয় নিশান, আইএসএল চাম্পিয়ন এটিকে মোহনবাগান

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আরব সাগরের তীরে উড়ল সবুজ-মেরুণ বিজয় নিশান, আইএসএল চাম্পিয়ন এটিকে মোহনবাগান

আরব সাগরের তীরে উড়ল সবুজ-মেরুণ বিজয় নিশান। টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হল এটিকে মোহনবাগান। টাইব্রেকারে বাজিমাত সবুজ-মেরুণের। এটিকে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করল বিশাল কাইথের বিশ্বস্ত হাত। টাইব্রেকারে ব্রুনো সিলভার শট আটকে দলকে জয় এনে দেন তিনি। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ছিল ২-২। অতিরিক্ত সময়ে কোনও গোল হয়নি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল এটিকে মোহনবাগানের। ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায়। এরিয়াল বলে হেড করতে উঠেছিলেন আশিক কুরুনিয়ান ও রয় কৃষ্ণা। হাতে বল লাগান রয় কৃষ্ণা। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।

২৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। জাভি হার্নান্ডেজের ফ্রিকিক গোলে ঢোকার মুখে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে কর্ণানের বিনিময়ে বাঁচান এটিকে মোহনাবান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি পেতে পারত বেঙ্গালুরু এফসি। বক্সের ভেতর বল ছাড়া রয় কৃষ্ণাকে লাথি মারেন প্রীতম কোটাল। বেঙ্গালুরু ফুটবলারদের পেনাল্টির আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি।

৪১ মিনিটে জাভি হার্নান্ডেজের আরও একটা ফ্রিকিক গোলে ঢোকার মুখে উড়ে গিয়ে কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচান বিশাল কাইথ। অবশেষে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু। বক্সের মধ্যে রয় কৃষ্ণাকে বল ছাড়া লাথি মারেন শুভাশিষ বোস। রেফারি পেনাল্টি নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান সুনীল ছেত্রী।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ প্রতিআক্রমণে ম্যাচ দারুণ জমে ওঠে। কোনও দলই একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি ছিল না। তবে এটিকে মোহনবাগানের দাপট বেশি ছিল। ৬১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও এসেছিল। পরিবর্ত হিসেবে নামা লিস্টন কোলাসোর দুরন্ত শট কোনও রকমে বাঁচান বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিং। ফিরতি বল যায় পেত্রাতোসের কাছে। কিন্তু তিনি জালে রাখতে পারেননি।

অবশেষে ৭৮ মিনিটে কর্ণার থেকে ভেসে আসা বলে হেডে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণা। ৮৫ মিনিটে সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। পেনাল্টি বক্সের মাথায় কিয়ান নাসিরিকে ফাউল করেন পিরেজ। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে আবার গোল করে সমতা ফেরান দিমিত্রি পেত্রাতোস। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে পেত্রাতোসের শট গোলে ঢোকার মুখে বাঁচান প্রবীর দাস। শেষ মুহূর্তে কিয়ান নাসিরির সামনেও দলকে জেতানোর সুযোগ এসেছিল। তাঁর শট আটকে দেন গুরপ্রীত সিং। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।  ‌

অতিরিক্ত সময়েও আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। বেঙ্গালুরুর রোহিত কুমারের কাছে গোল করার সুযোগ এসেছিল। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও তিনি বাইরে মারেন। এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মনবীর সিংও। পেত্রাতোসের সেন্টার সামনে শুধু বেঙ্গালুরু গোলকিপারকে একা পেয়েও মাটিতে হেড করেন মনবীর সিং। অতিরিক্ত সময়েও ২–২ থাকায় ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।

টাইব্রেকারে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস,লিস্টন কোলাসো,কিয়ান নাসিরি ও মনবীর সিং। বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করেন অ্যালান কোস্তা,রয় কৃষ্ণা ও সুনীল ছেত্রী। ব্রুনো সিলভার শট সেভ করেন বিশাল কাইথ। পাবলো পিরেজ বাইরে মারেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!