Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা বি। দে । শ
  • মে ২৯, ২০২৪

কূটনৈতিক ভন্ডামি কখনো নীরব, কখনো সরব আমেরিকা। রাফায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত, গাজায় হত অন্তত ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কূটনৈতিক ভন্ডামি কখনো নীরব, কখনো সরব আমেরিকা। রাফায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত, গাজায় হত অন্তত ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি

ইসরাইল যখন জলে স্থলে আকাশপথে , দক্ষিণ-পশ্চিমের রাফার দিকে সমরসজ্জা নিয়ে এগোচ্ছিল, তখনই আরম্ভ-র একান্ত বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল , ইসরাইলি হামলা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। । মার্কিন প্রশাসন ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছিল, ইসরাইলি ফৌজের বাড়াবাড়ি বরদাস্ত করা হবেনা। ওয়াশিংটন তেল আভিভকে সমরাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। মার্কিন হুমকিকে পাত্তা দেয়নি ইসরাইল। সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ পরিচালিত তাল আল সুলতান উদ্বাস্তু শিবিরে। প্রাথমিক তথ্য, নিহতের সংখ্যা ৪৫ , নারী শিশু নির্বিশেষে জখম হয়েছেন কয়েকশ ফিলিস্তিনি । সঙ্কট বাড়ছে, উদ্বাস্তু শিবিরে , শিবির সংলগ্ন এলাকায় । হাজার হাজার নিরস্ত্র জনতা পালাতে ব্যস্ত। হাসপাতালে জায়গা নেই। বিদ্যুৎ আর পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র। এত বড় ‘ম্যান -মেড’ বিপর্যয়ের পরও ইসরাইল থামছেনা। আমল দিচ্ছেনা বিশ্ব জোড়া নিন্দাকে। সংসদে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, উদ্বাস্তু শিবিরে ফৌজের হামলা , দুঃখজনক ভুল । দায়সারা বিবৃতিকে আমল দেয়নি ইসরাইল সেনা। উদ্বাস্তু শিবির বিলকুল ‘নিরাপদ’ নয় । নেতানিয়াহুর সেনা ঘন ঘন হামলা চালাচ্ছে । ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুরা দিশেহারা । স্পেন , আয়ারল্যান্ড ,নরওয়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ । বৈঠকের ফল কী দাঁড়াবে , বলা মুশকিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিন্দাকে  আমেরিকা , ইসরাইল সচরাচর গুরুত্ব দেয়না। উদ্বাস্তু শিবিরে ইসরাইলের হামলা আগেও হয়েছে। ভবিষ্যতেও হতে থাকবে । ২০২৩ সালের অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার জবাবে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি গণহত্যার বলি হয়েছেন গাজা এলাকার। উদ্বাস্তু লক্ষাধিক। হামাসের আগ্রাসনে মারা গেছে ১,১৩৯ জন ইসরাইলি। গাজায় বন্দী অবস্থায় আটকে আছেন বহু ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিক।
ইসরাইলের আগ্রাসন নীতির ঘোষিত সমর্থক বাইডেন প্রশাসন ভন্ড কৌশল  গ্রহণ করেছে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির প্রশ্নে নীরব তার ভূমিকা। আবার, বিশ্বজনমতের চাপে মাঝে মাঝে মুখ খুলতে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিংবা বিদেশ দফতরকে ।
সমস্যার সমাধান সহজ নয়। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নির্ভর করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন , রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের ওপর । চিন আর রাশিয়া এখন পরস্পরের স্বাভাবিক বন্ধু । এই দুই শক্তিধর এবং তাদের সহযোগী ইরানের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে উপস্থিতি মানেই অপরিহার্য মার্কিন উপস্থিতি।  আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর ঘটনা প্রবাহ অন্যদিকে মোড় নিতে পারে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!