- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ২৭, ২০২৩
অধ্যাপকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করবে রাজভবন। আবার সংঘাতের মুখে রাজ্যপাল-শিক্ষা দফতর
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ অধ্যাপকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে আগ্রহী রাজভবন । ইতিমধ্যে মেইল করে উপাচার্য দের কাছে থেকে এব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। যা সামনে আসায় আবার বিতর্কের কেন্দ্রে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক।
সাম্প্রতিককালে উচ্চশিক্ষায় হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে বার বার নবান্ন ও রাজভবন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক আয় ব্যয় সংক্রান্ত রিপোর্ট চান সিভি আনন্দ যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। পরে কলকাতা , প্রেসিডেন্সি সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচমকা পরিদর্শনে যান সিভি আনন্দ, যা সুনজরে দেখেনি নবান্ন। কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান ব্রাত্য বসু। এমতাবস্থায়, অধ্যাপকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরির জন্য উপাচার্যদের ইমেল পাঠাতে বলায় পরিস্থিতি আরো জটীল হয়ে উঠতে পারে। পুরো ব্যাপারটি প্রথমে গোপনই ছিল। পরে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এব্যাপারে উচ্চ শিক্ষা দফতরের মত জানতে চাওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে ( যেহেতু বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলটি এখনো রাজভবনের অনুমোদন পায়েনি) প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। যার মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে হস্তক্ষেপ করার লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু তিনি তার যাবতীয় কর্মকাণ্ড রাজ্য শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে করছেন। যা সন্দেহ ও সংশয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা যৌথ তালিকা ভুক্ত। এখানে রাজ্যের কিছু অধিকার আছে যা কেন্দ্র অস্বীকার করতে পারে না।সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ কেন্দ্র ও রাজ্য-উভয়কেই নিজেদের এক্তিয়ার সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। দুপক্ষের সহযোগিতা ও সমন্বয়ের রাজ্যের উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষতা শীর্ষবিন্দু স্পর্শের বীজমন্ত্র নিহিত রয়েছে, বিরামহীন সংঘাতে নয়।
❤ Support Us