অষ্টম বারের জন্য ব্যালন ডি’অর লিওনেল মেসির হাতে

ব্যালন ডি’অর জেতার লড়াইয়ে অন্য ফুটবলারদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসি। তাঁর হাতে পুরস্কার ওঠা ছিল সময়ের অপেক্ষা। আর প্রত্যাশামতোই উয়েফার বিচারে সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন লিওনেল মেসি। অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর পুরস্কার উঠল এই আর্জেন্টিনা তারকার হাতে।

২০২৩ সালে ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে লিওনেল মেসির সঙ্গে লড়াই ছিল ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আরলিং হালান্ড ও পিএসজি-র ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের। এই দুই ফুটবলারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। সোমবার রাতে প্যারিসে উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কার নিতে মেসির সঙ্গে হাজির ছিলেন তাঁর তিন ছেলে ও স্ত্রী আন্তনেল্লা রোকুজ্জো। অনুষ্ঠান মঞ্চেই মেসি স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে ছবি তোলেন। আইভরি কোস্টের কিংবদন্তি ফুটবলার দিদিয়ের দ্রোগবা ও ফরাসি সাংবাদিক উপস্থাপক স্যান্ডি হ্যারিবার্ট গোটা অনুষ্ঠানটা পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সার্বিয়ান টেনিস নোভাক জকোভিচও।

মেসির নাম ঘোষণার পর সকলেই উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান। পুরস্কার পাওয়ার পর মেসি বলেন, “এইরকম মুহূর্ত আরও একবার আসার জন্য আমি খুবই আনন্দিত। বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার কাছে স্বপ্ন। গোটা দেশের মানুষও চেয়েছিল আমরা বিশ্বকাপ জিতি। দেশকে আমি গর্বিত করতে পেরেছি। এবার উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কার পেয়েও আমি গর্বিত।” মেসি আরও বলেন, “আমার এই রকম কেরিয়ার গড়ে উঠবে, তা স্বপ্নেও ভাবেনি। আমি যা কিছু অর্জন করেছি, তাতে ভাগ্যের সহায়তা ছিল ল। আমি বিশ্বের সেরা দলে খেলেছি। পাশে ভালো ভালো সতীর্থ পেয়েছি। এগুলোই আমার ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতার কাজকে সহজ করে দিয়েছিল।”

সেরা তরুণ ফুটবলারের কোপা ট্রফি জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার জুড বেলিংহাম। সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর সর্বাধিক গোলদাতা পুরস্কার জিতেছেন হালান্ড। মহিলাদের বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য আইতানা বোনামতি। পুরুষ বিভাগের সেরা ক্লাব হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। মহিলা বিভাগে সেরা বার্সেলোনা।