- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ৩, ২০২৪
পানীয় জল সঙ্কটে ভাঙছে বিয়ে, মরুরাজ্যের গ্রামে ভোট বয়কট করেও মেলেনি সুরাহা

রাজস্থানের এ গ্রামে ভোট মিটে গেছে প্রায় এক মাস হল। আজমীঢ় শহর থেকে দুরত্ব মাত্র ১০ কিমি। সারা গ্রামে লোক সংখ্যা ৫০০০। কিন্তু ভোট দিতে এসেছিলেন মাত্র ৩৭ ।কারণ কী? রাজস্থান মরুভূমি ঘেরা রাজ্য। জলের কষ্ট এখানে দৈনন্দিনতার বিষয় । কিন্তু অস্বাভাবিক ব্যাপার তখনই ঘটে যখন মানুষের বসতি থাকাকালীন গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে।
গ্রাম বালওয়ান্তা। এই গ্রামের বাসিন্দারা ভোট বয়কট করলেন, তাও সংঘবদ্ধরূপে। এলাকাটি পুষ্কর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত । পানীয় জলের জন্য বাসিন্দাদের প্রায় রোজই হাইওয়ে পার করে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয় ।কারণ এই গ্রামে জলের কোনও পাইপলাইনের ব্যবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে তাঁদের ফ্লুওরাইড মিশ্রিত জল পান করতে হয়। ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামটির বয়স প্রায় ১০০০ বছর। এত বছরের পুরনো জনপদের এমন দুর্দশা কেন তা জানতে চাওয়া হলে এলাকার এক বাসিন্দা জানালেন, এ সমস্যা আগেও অনেকবার সরকারের নজরে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা তা দেখেও দেখেননি।
#WATCH | Rajasthan: Water crisis in Ajmer’s Balwanta village affects marriage prospects. Villagers struggle to make themselves heard even after boycotting the 2024 General Elections. pic.twitter.com/uT7gYFsqCT
— ANI (@ANI) June 3, 2024
তার প্রতিবাদস্বরূপ এবার দেখা গেল ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে তাঁরা ঘোরাঘুরি করলেও ভোট দিতে কেউই বুথে প্রবেশ করছেন না। তাঁরা যেন ভোট দিতে আসেন, এই আবেদন জানিয়ে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকেরা একাধিকবার তাঁদের আহ্বান জানালেও গ্রামবাসীরা তাতে কর্ণপাত করেননি। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন লিখিতভাবে তাঁদের দাবি শোনার আশ্বাস দিলে, তাতেও কোনও কাজ হয়নি। গ্রামবাসীদের মতামত, এর আগে এমন লিখিত প্রতিশ্রুতি বহুবার তাঁদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের অবস্থা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই আছে। এক গ্রামবাসী যুবক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পানীয় জল সমস্যার জন্য সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কোনও মেয়ে এই গ্রামের কোনও পাত্রকে বিয়ে করতে চাইছে না। দুই আড়াই কিলোমিটার পানীয় জল সংগ্রহ করার রোজকার এই রুটিন শুনে সবাই পিছিয়ে আসছেন।
বিয়ের থেকেও বড় সমস্যা রোজকার এই বেঁচে থাকার লড়াই। যুবকের দাবি, ভোট মিটে যাওয়ার পর কেটেছে প্রায় এক মাস। এখনও পর্যন্ত কোনও আধিকারিক বা কোনও রাজনৈতিক নেতা তাঁদের সমস্যা শোনার জন্য এখানে উঁকি দেননি।
❤ Support Us