- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস বাংলাদেশের
বাংলাদেশকে হয়তো একটু বেশিই ছোট নজরে দেখেছিলেন শান মাসুদরা। আর সেই ছোট নজরে দেখার খেসারত দিতে হল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জিতে নজির গড়েছিল বাংলাদেশ। এবার সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল। শুধু সিরিজ হারাই নয়, বেঙ্গল টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াস হতে হল পাকিস্তানকে। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছিল ১০ উইকেটে। আর দ্বিতীয় টেস্টে জিতল ৬ উইকেটে। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ভারত সফরের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিল বাংলাদেশ।
টেস্টের প্রথম দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিন ২৭৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে। ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। একসময় ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায়। এরপর লিটন দাসের ১৩৮ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ৭৮ রানের ভর করে বাংলাদেশ তোলে ২৬২। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। ১৭২ রানে গুটিয়ে যায়। সর্বোচ্চ রান করেন আগা সলমান (অপরাজিত ৪৭)। মহম্মদ রিজওয়ান করেন ৪২। হাসান মাহমুদ ৫টি ও নাহিদ রানা ৪ উইকেট দখল করেন।
জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে বাংলাদেশ তুলেছিল ৪২/০। ইতিহাস গড়ার মঞ্চটা সোমবারই তৈরি করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম দিন জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৪৩ রান। আজ ৪ উইকেট হারিয়েই বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। আগের দিন বিকেলে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা জাকির হাসানের ইনিংস দীর্ঘায়িত হয়নি। ৩৯ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ রান করে তিনি মীর হামজার বলে আউট হন। আর এক ওপেনার সাদমান ২৪ রান করে আউট হন।
এরপর দলকে টানেন অধিনায়ক নাজমুল হল শান্ত ও মোমিনুল হক। দুজনে জুটিতে তোলেন ৫০। এই জুটির হাত ধরেই বাংলাদেশের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর ভুল শট খেলতে গিয়ে আউট হন নাজমুল হোসেন (৩৮)। অন্যদিকে, ৩৪ রান করে আউট হন মোমিনুল। এরপর বাংলাদেশকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মুশফিকুর রহিম (অপরাজিত ২২) ও সাকিব আল হাসান (অপরাজিত ২১)। ৪ উইকেটে ১৮৫ রান তুলে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে মীর হামজা, খুররম শাহজাদ, আবরার আহমেদ ও সলমন আঘা একটি করে উইকেট পান।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজ জিতে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এল বাংলাদেশ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ। ৬টি টেস্ট খেলে তাদের সাফল্যের হার ৪৫.৮৩ শতাংশ। পাকিস্তান রয়েছে আট নম্বরে। ৭ টেস্টের পর সাফল্যের হার ১৯.০৪ শতাংশ।
❤ Support Us