Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ১৩, ২০২৩

গাজায় ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ অস্ত্র, আল শিফা হাসপালাতে ইনকিউবেটরে প্রাণ যাচ্ছে শিশুদের। যুদ্ধে না জয়ী হয়ে থামতে নারাজ ইসরায়েল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
গাজায় ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ অস্ত্র, আল শিফা হাসপালাতে ইনকিউবেটরে প্রাণ যাচ্ছে শিশুদের। যুদ্ধে না জয়ী হয়ে থামতে নারাজ ইসরায়েল

ইসরায়েল চায় গাজায় পূর্ণ দখল। তাই সেখানে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা, ফসফরাস বোমা মারছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত গাজায় ২৫ হাজার টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। ইউরো মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর একটি বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলের এই নির্বিচারে গাজায় হামলার জেরে প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফা। ইজরায়েলি সেনার লাগাতার আক্রমণে হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। আল শিফা হাসপাতালে তিন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যে। মৃতের সংখ্যা দ্রুত আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান টেড্রস গেব্রেয়াসাস। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আর্জিও জানিয়েছেন হু প্রধান। প্রসঙ্গত ইজরায়েলের অভযোগ, গাজার একাধিক হাসপাতালে নিজের ঘাঁটি গেড়েছে হামাস, তাই ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে হাসপাতালে আক্রমণ চালাচ্ছে।

হামাস গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায়। তার পর থেকেই জঙ্গিদের নির্মূল করার ডাক দিয়ে লাগাতার গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। ইসরায়েলের ধারণা, গাজার হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ মানুষদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে হামাস, হাসপাতালকে তাদের  ঘাঁটি বানিয়েছে। আগেই আগেই গাজার বিদ্যুৎ সরবারহ, জল বন্ধ করেছে ইসরায়েল। এখন জ্বালানির অভাবে কার্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত  ওখানকার হাসপাতাল-সহ অন্যান্য জায়গা।

হু প্রধান টেড্রস গেব্রেয়াসাস জানিয়েছেন, আল শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি গুরুতর এবং বিপজ্জনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ক্রমাগত বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির লড়াইয়ের ফলে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে গেব্রেয়াসাস লিখেছেন, “অসুস্থদের অনেকেই মারা গিয়েছেন। এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। হাসপাতালের পরিষেবা একেবারে বন্ধ হওয়ার পথে।” এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ইসরায়েলের প্রতি সংঘর্ষবিরতির ডাক দিয়েছেন হু প্রধান।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জনৈক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রবিবারই ওই হাসপাতাল থেকে শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন তাঁরা। গাজা ভূখণ্ডেই আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দিয়েছিল ইজরায়েল। এই পরিস্থিতিতে ভরসা ছিল জেনারেটরের উপরই। কিন্তু জ্বালানি সংকটে এবার থিম গেছে জেনারেটার। হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা অসহায় শিশুদের এখন একটাই পরিণতি তা হল মৃত্যু। এই পরিস্থিতি থেকে গাজার সাধারণ মানুষ, শিশু, বৃদ্ধ,বৃদ্ধদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হু ছাড়াও জাতিসংঘের তরফে দেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলছেন, এখন যুদ্ধবিরতির অর্থ হামাসদের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নেওয়া, এটা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ গাজা জয় করেই থামবে এই যুদ্ধ। তাই এভাবেই হয়তো একদিকে যুদ্ধপিপাষুদের জেদের কাছে হার মানবে ইনকিউবেটরে রাখা সদ্যজাতরা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!