Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ১৫, ২০২৪

পয়লা বৈশাখে রাজনীতির খোলস খুলে ব্যবসায়ী পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পয়লা বৈশাখে রাজনীতির খোলস খুলে ব্যবসায়ী পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ

বছরের প্রথম দিনটি রাজনীতির জোব্বা শিকেয় তুলে পারিবারিক ব্যবসার বলয়ে ঢুকে পড়েন কাটোয়ার ডবল হ্যাটট্রিককারী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি। বাংলা বছরের প্রথম দিনে প্রথা মেনে চা-পাতা বিক্রির প্রতিষ্ঠানে গণেশপুজো করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু। পুজো সেরে নিজেদের চায়ের দোকানে বসে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ব্যবসার দেখাশোনা করলেন জেলার অন্যতম ব্যস্ত রাজনীতিক রবীন্দ্রনাথবাবু। চা-পাতা বিক্রেতা রবীন্দ্রনাথবাবুকে দেখতে দোকানের সামনে ভিড় জমে যায়। তবে পুরোপুরি ব্যবসায় মন দেওয়ার জো আছে কি! রাজনীতি যে নাছোড়। পূর্ব বর্ধমান জেলার লোকসভা ভোট পরিচালনায় তৃণমূলের কাণ্ডারীতো তিনিই। চা বিক্রি, খরিদ্দারদের মিষ্টির প্যাকেট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার কর্মসূচি নিয়ে ঘন ঘন ফোন আসে। ফোনেই নির্দেশ দেন। রণকৌশল বেঁধে দেন।

কথায় কথায় জানা গেল, প্রায় সাড়ে ৫ দশক আগে বাবা রাধাকান্ত চ্যাটার্জি রবীন্দ্রনাথবাবুকে কাটোয়া শহরের স্টেশন বাজারে তাঁর ‘গৌরাঙ্গ টি স্টোর’ নামক দোকানটি পরিচালনার ভার দেন। সেই থেকেই রাজনৈতিক বা জনপ্রতিনিধি হিসেবে হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও পয়লা বৈশাখ গণেশ পুজোয় কখনও ছেদ পড়েনি। কংগ্রেসের হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরুর সময় থেকেই এই ‘গৌরাঙ্গ টি স্টোর’ চায়ের দোকানটি থেকেই জনসংযোগের কাজটি করতেন রবীন্দ্রনাথবাবু। এই কাজের সাফল্যের নিরিখেই জেলার বাম বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন রবীন্দ্রনাথবাবু। টানা ৬ বারের বিধায়ক তথা সিকি দশকের উপর কাটোয়ার পুরপ্রধানের দায়িত্বে থাকা রবীন্দ্রনাথবাবুর জনপ্রিয়তার আঁতুরঘর এই চায়ের দোকানটি। তাই যত গুরুদায়িত্বই ঘাড়ে থাকুক না কেন, যতই কর্মব্যস্ততা থাকুক ফি-বছর পয়লা বৈশাখ গণেশ পুজো করতে ভোলেন না তিনি। নিজের দোকানে পুজো করার পাশাপাশি পুরনো প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। বলেন, ‘বাবা দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যতদিন পারব দায়িত্ব পালন করে যাব।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!