- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ৪, ২০২৪
ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঋদ্ধিমান সাহার

এবছর আইপিএলে রিটেনশন তালিকায় তাঁকে রাখেনি গুজরাট টাইটান্স। নিলামেও তাঁকে কোনও দল তুলে নেবে, সে সম্ভাবনাও কম। জাতীয় দলেও রাস্তা বন্ধ। ত্রিপুরা থেকে আবার বঙ্গক্রিকেটে ফিরে আসাটা অনেকেই ভাল চোখে দেখেননি। ক্রিকেটকে যে আর নতুন করে দেওয়ার কিছুই নেই। দেওয়াল লিখনটা পড়েই ফেলেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাই ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার এই উইকেটকিপার। চলতি মরশুম শেষেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন ঋদ্ধিমান।
সিএবি–র এক কর্তার কথায় অপমানিত হয়ে একরাশ অভিমান নিয়ে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় গিয়েছিছিলেন। সেখানেও আহামরি সাফল্য পাননি। এই মরশুমে ত্রিপুরা ছেড়ে আবার বাংলায় ফিরে এসেছেন। তাঁকে এবছর রনজি দলেও রেখেছেন বাংলার নির্বাচকরা। এখনও পর্যন্ত ব্যাটে বড় রান নেই। অনেকেই মনে করছেন, আবার বাংলায় ফিরে তরুণদের জায়গা নষ্ট করছেন। একদিকে সমালোচনা, অন্যদিকে ছন্দে না থাকায় অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন ঋদ্ধি। এই মরশুমে বাংলার হয়ে শুধু রনজি ট্রফিতেই খেলবেন, সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ কিংবা বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলবেন না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অবসরের কথা ঘোষণা করে তিনি লিখেছেন, ‘এটাই আমার ক্রিকেটজীবনের শেষ মরশুম। শেষবারের মতো বাংলার হয়ে নামতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। অবসরের আগে শেষবার শুধুমাত্র রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে চাই। আমার এই ক্রিকেট জীবনে যাঁরা পাশে ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ। এই মরশুমটাকেও স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’ যেদিন বাংলায় ফেরার কথা ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন ঋদ্ধি বলেছিলেন, সব ফরম্যাট থেকেই একসঙ্গে অবসর নেবেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে ইঙ্গিত, শুধুমাত্র রনজিতেই খেলবেন।
২০০৭ সালে বাংলার হয়ে রনজিতে অভিষেক। টেস্ট অভিষেক ২০১০ সালে, নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। দেশের জার্সিতে ৪০টি টেস্ট, ৯টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে রান করেছেন ১৩৫৩। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ৬টি। ক্যাচ ধরেছেন ৯২টি, স্টাম্প করেছেন ১২। প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলেছেন ১৩৮টি। রান করেছেন ৭০১৩। সেঞ্চুরি ১৪টি, হাফ সেঞ্চুরি ৪৩টি। ক্যাচ ঘরেছেন ৩৩৬টি, স্টাম্প করেছেন ৩৮টি।
❤ Support Us