Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪

ক্রিকেটকে বিদায়ের দিনে ধোনির কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে গেলেন মনোজ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ক্রিকেটকে বিদায়ের দিনে ধোনির কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে গেলেন মনোজ

বিহারের বিরুদ্ধে রনজি ম্যাচে শেষবারের মতো মাঠে নামবেন। আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তেওয়ারি। দীর্ঘদিন বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারলেও জীবনের শেষ ম্যাচে দলকে জিতিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন। বঙ্গ ক্রিকেটে পরিসমাপ্তি ঘটল মনোজ তেওয়ারি যুগের। দলের অধিনায়কের বিদায়ে আবেগঘন মুহূর্ত বাংলার শিবিরে। বাংলার ক্রিকেটে অবদানের জন্য মনোজকে সোনার ব্যাট দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়েছে সিএবি।
গতবছর হঠাৎ করেই অবসর নিয়েছিলেন মনোজ। সিএবি কর্তাদের অনুরোধে শেষপর্যন্ত অবসর ভেঙে ফিরে আসেন। স্বপ্ন ছিল এবছর বাংলাকে রনজি চ্যাম্পিয়ন করে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হল না। ১৪৮টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে তিনি ১০১৯৫ রান করেছেন। সেঞ্চুরি ৩০টি, হাফ সেঞ্চুরি ৪৫টি। সর্বোচ্চ ৩০৩।
২০০৪ সালে ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মনোজ তেওয়ারির। ২০ বছর পর সেই ইডেনেই ক্রিকেটজীবনের পরিসমাপ্তি। তবে রনজি জয়ের আক্ষেপ থেকেই গেল।
রবিবার বিদায়ী সংবর্ধনায় মনোজ তেওয়ারিকে সোনার জল করা ব্যাট উপহার দেওয়া হয় সিএবি–র পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিসহ সিএবি কর্তারা। মনোজের পরিবারও এসেছিল। বিদায় বেলায় মনোজ বলেন, ‘‌সিএবি কর্তাদের থেকে শুরু করে মহারাজ দা, আমার দলের সব সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যতদিন বাঁচব সিএবি–র এই বিদায় সংবর্ধনা মনে থাকবে।’‌
তবে বিদায়ী অনুষ্ঠানে দেশের প্রাক্তন অধিনাক মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রতি অভিমান ঝড়ে পড়ছিল মনোজের। তিনি বলেন, ‘‌ক্রিকেট জীবনে অনেক উত্থান–পতনের সাক্ষী থেকেছি। তবে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর মুহূর্তে ধোনিকে প্রশ্ন করতে চাই, সেঞ্চুরি করার পরেও কেন আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ যেতে হয়েছিল। আমার এই আক্ষেপ কোনও দিনও যাবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পরে আমার জাতীয় দলে নিয়মিত খেলা উচিত ছিল।’‌
বিহারের বিরুদ্ধে রনজির গুরুত্বহীন ম্যাচে বাংলাকে জিতিয়েই বিদায় নিলেন মনোজ। বাংলার জয় যে আসবে প্রথম দিনেই বোঝা গিয়েছিল। বিহার প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। জবাবে বাংলা ৫ উইকেটে ৪১১ রান করে ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করে। দ্বিতীয় দিনের শেষে বিহার ১ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তুলেছিল। রবিবার মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই মাত্র ১১২ রানে গুটিয়ে যায় বিহারের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান করেন পরমজিৎ সিং (‌২৩)‌। বাংলার জয় ইনিংস ও ২০৪ রানে। মুকেশষ কুমার নেন ৬ উইকেট। দু’‌ইনিংস মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে ১০ উইকেট।  ‌‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!