Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • এপ্রিল ১৯, ২০২২

আজ সন্ধ্যায় ঢাকে কাঠি পড়বে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী! সূচনা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল

রাজ্যের তরফে বাণিজ্য সম্মেলনের যে আমন্ত্রণ পত্র বিলি শুরু হয়েছে, তাতে নাম নেই মোদির।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আজ সন্ধ্যায় ঢাকে কাঠি পড়বে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী! সূচনা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল

আজ সন্ধ্যায় ঢাকে কাঠি পড়ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আজ থেকেই আসতে শুরু করবেন অভ্যাগতরা। দেশের প্রথম সারির সব শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরা হাজির থাকছেন বলে জানা যাচ্ছে।রাজ্যের অনুরোধ সত্ত্বেও সম্ভবত বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের তরফে বাণিজ্য সম্মেলনের যে আমন্ত্রণ পত্র বিলি শুরু হয়েছে, তাতে নাম নেই মোদির। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আমন্ত্রণ পত্রে নাম রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা অমিত মিত্র এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। তা থেকেই অনেকের ধারণা তৈরি হয়েছে বাণিজ্য সম্মেলনে সম্ভবত থাকবেন না মোদি। তাছাড়া, এই ধরনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলে তাঁর নিরাপত্তার জন্য এসপিজি পুলিশের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করে। এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি।

ভবানীপুরে উপনির্বাচনে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মৌখিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করে এসেছিলেন। একটা সময় পর্যন্ত প্রশাসনিক মহলে ধারণা তৈরি হয়েছিল, রাজ্যের প্রতি সহযোগিতার বার্তা দিতে মোদি এই সম্মেলনে আসতেও পারেন। সূত্রের দাবি, সপ্তাহখানেক আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে এ বিষয়ে রাজ্যের তরফে যোগাযোগও করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কারণে এই সম্মেলনে থাকতে পারবেন না বলেই জানিয়েছে তাঁর দপ্তর। বিজেপি সূত্র বলছে, প্রায় ২ বছর বাদে কোনও রাজ্যে শিল্প সম্মেলন হচ্ছে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার ইচ্ছাও ছিল। কিন্তু দলের আপত্তিতে তিনি আসতে পারছেন না।তবে মোদি না এলেও বিজিবিএসের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । আজ মুখ্যমন্ত্রীর নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। সেখানেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্রের দাবি।

সোমবারই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, রমজান মাস চলায় শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় নজরদারিতে জেলার মন্ত্রীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের এলাকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে নির্দিষ্ট কয়েকজনকে থাকতে বলা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও রাজ্যের উন্নয়নসূচককে সামনে আনছে রাজ্য। তাজপুর সমুদ্র বন্দর ও দেউচা পাঁচামির কথা রাজ্য বিশ্বের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরতে চায়। বাণিজ্য সম্মেলনের শুরুর দিন মুখ্যমন্ত্রী নারী সশক্তিকরণ বোঝাতে কয়েকজন মহিলার হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা প্রতীকি তুলে দেবেন। এ পর্যায়ে এই প্রকল্পে ২৩ লক্ষ মহিলাকে দিতে খরচ হবে ২৪০ কোটি টাকা।


নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে দু’দিন ব্যাপী এই বাণিজ্য সম্মেলন। সেই কারণে মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে নিউটাউনের ইকোপার্ক। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউসিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’ (হিডকো)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯-২১ এপ্রিল বন্ধ থাকবে ইকোপার্ক। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের জন্য পার্কটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইকোপার্ক দেখতে প্রতি দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ আসেন।

কিন্তু বাণিজ্য সম্মেলনের কারণে নিউটাউন এলাকায় কোনওরকম যানজট চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মেলনে আগত দেশি এবং বিদেশি অতিথিদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সে দিকে নজর রাখতে প্রশাসনিক কর্তাদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে। করোনা সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর রাজ্যে বসেনি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর। সেই দু’বছরের ঘাটতি এই শিল্প সম্মেলন দিয়ে পূরণ করতে চায় রাজ্য সরকার। তাই অতিথিদের যাতায়াতের রাস্তা যানজটমুক্ত রাখতে ইকোপার্কের দরজা তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শিল্প সম্মেলন শেষ হয়ে গেলে শুক্রবার থেকে ফের খুলে যাবে ইকোপার্কের দরজা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!