- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
সংসদ হামলা নিরাপত্তার বড় গলদ, বাংলার কোনও যোগ নেই, দিল্লি যাওয়ার আগে স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
সংসদে স্মোক বম্ব হামলার মূলচক্রীর সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ নেই। ওরা ঝাড়খণ্ড, বিহারের, রবিবার দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সোজা এই কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার তিনদিনের সফরে দিল্লি রওনা হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কর্মসূচি রয়েছে।
সংসদ হামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বললেন, “নিরাপত্তায় যে গলদ রয়েছে, সেটা তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও মেনে নিয়েছেন। নতুন সংসদে নিরাপত্তার বড় গলদ ছিল। আমরা চাই এর নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।” অভিযুক্তদের পাশ ইস্যু করেছিলেন বিজেপি সাংস প্রতাপ সিং। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে মমতার বলেন, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বলেই তো রাজ্যসভা থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও কংগ্রেস ও আরজেডি সাংসদদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তবে ঘটনার মূলচক্রী ললিত ঝার সঙ্গে যে বাংলার কোনও যোগ নেই, তাও সাফ জানিয়ে দেন মমতা। তিনি বলেন, “ললিত ঝাঁর কোনও বঙ্গ যোগ নেই, ওরা ঝাড়খন্ড বিহারে রয়েছে। বাংলার নামে কুৎসা আর অপপ্রচার করার চেষ্টা সবসময়।” উল্লেখ্য গত বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই কয়েকজন ঢুকে পড়েন ভিতরে। তাঁদের হাতে ছিল কেনিস্টার। কোনও বড়সড় দুর্ঘটনার আগেই তাঁদের ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু কীভাবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করলেন, এ নিয়েই সরব হন বিরোধীরা।
এরপরই তদন্ত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে মূলচক্রী ললিত ঝার বঙ্গ যোগের তত্ত্ব সামনে আসে। যাকে হাতিয়ার করে সুর চড়ায় গেরুয়া শিবির। বলা হয়, বাংলা অপরাধের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তবে, এবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ললিতের কোনও বঙ্গ যোগ নেই।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে। এই নিয়ে এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, দেখা করেছি। বাংলার আবাস যোজনার টাকা, রাস্তা তৈরির টাকা আটকে রেখেছে। স্বাস্থ্যের টাকা দিচ্ছে না। বলছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রং গেরুয়া করতে হবে। কেন আমরা স্বাস্ব্য কেন্দ্রের রং গেরুয়া করতে যাব? আমাদের তো নীল- সাদা রং আছেই। সবটাই রাজনীতি। দেখছেন না, মেট্রো স্টেশনগুলো সব গেরুয়া করে দিচ্ছে।”
❤ Support Us