- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ২০, ২০২৪
শেষ ম্যাচে বিহারের কাছে আটকে গিয়েও সন্তোষের মূলপর্বে বাংলা

ঝাড়খণ্ডকে প্রথম ম্যাচে ৪ গোলে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি অভিযান শুরু করেছিল বাংলা। দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৭ গোল। অর্থাৎ দুই ম্যাচে ১১ গোল। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে বিহারে বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে বাংলাকে নিয়ে প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিহারের বিরুদ্ধে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেন না রবি হাঁসদা, নরহরি শ্রেষ্ঠারা। ম্যাচ গোলশূন্য ড্র। বিহারের কাছে আটকে গেলেও বাংলার অবশ্য মূলপর্বে যেতে কোনও সমস্যা হল না।
এদিন প্রথম একাদশে কয়েকটা পরিবর্তন করে মাঠে নামেন সঞ্জয় সেন। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মনোতোষ মাঝিকে বসিয়ে নরহরি শ্রেষ্ঠাকে প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিলেন। ম্যাচের শুরুর দিকে বাংলার আধিপত্য থাকলেও শেষদিকে কিন্তু যথেষ্ট চাপে ছিল বাংলা। ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বাংলার সামনে। চাকু মান্ডির দুর্দান্ত পাস বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক পেয়েছিলেন ইসরাফুল দেওয়ান। কিন্তু বল সরাসরি বিহারের গোলকিপারের গায়ে মারেন। বিহারের এই গোলকিপার বাংলার সামনে এদিন বেশ কয়েকবার বাধা হয়ে দাঁড়ান।
৩৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার আরও একটা সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলা। নিজেদের বক্সের মধ্যে বাংলার অমরনাথ বাস্কেকে ফাউল করেন বিহারের এক ডিফেন্ডার। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। রবি হাঁসদার শট বিহারের গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে বারে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমদিকে বাংলার আক্রমণের চাপ বেশি ছিল। একাধিক সুযোগও তৈরি হয়। তবে কাজে লাগাতে পারেনি। শেষদিকে বিহার বেশ কয়েকবার বাংলার রক্ষণে ঝাঁকুনি দিয়েছিল। তারাও গোল তুলে নিতে পারেনি। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে মূলপর্বে পৌঁছে গেল বাংলা।
গ্রুপ লিগে তিনটি ম্যাচেই জিততে না পারায় হতাশ বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন। তিনি বলেন, ‘শেষ ম্যাচেও জিতে মূলপর্বে যেতে চেয়েছিলাম। সেটা হল না। কয়েকদিনের মধ্যেই মূলপর্বের জন্য প্রস্তুতি শুরু করব। এবার আরও কঠিন লড়াই। ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
❤ Support Us