- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
ওড়িশাকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা

সন্তোষ ট্রফিতে সবথেকে সফল বাংলা। অথচ দীর্ঘদিন সাফল্য নেই। ট্রফির খরা কাটানোর দিকে এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালে ওড়িশাকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিল সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। পিছিয়ে পড়েও এদিন দুর্দান্ত জয় তুলে নিল বাংলা। বাংলার হয়ে গোলগুলি করেন নরহরি শ্ৰেষ্ঠা, রবি হাঁসদা ও মনোতোষ মাঝি।
অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছিল বাংলা। গ্রুপ লিগে চূড়ান্ত দাপট দেখলেও কোয়ার্টার ফাইনালে এদিন শুরুটা ভাল হয়নি বাংলার। ওড়িশার বিরুদ্ধে রক্ষণভাগে বোঝাপড়ার অভাব চোখে পড়ছিল। বিক্রম প্রধান, মদন মান্ডি, অয়ন মণ্ডলদের ভুলের সুযোগ নিয়ে ম্যাচের ২৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় ওড়িশা। গোল করেন রাকেশ ওঁরাও। এরপর ব্যবধান বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
রক্ষণের অগোছালো ভাবের পাশাপাশি এদিন বাংলার মাঝমাঠও সেরা ছন্দে ছিল না। ফলে শুরু থেকেই মাঝমাঠের আধিপত্য নিয়েছিল ওড়িশা। সমস্যা বুঝতে বেশি দেরি হয়নি বাংলার বিদগ্ধ কোচ সঞ্জয় সেনের। ৩১ মিনিটেই অমরনাথ বাস্কের জায়গায় তিনি ইসরাফিল দেওয়ানকে মাঠে নিয়ে আসেন এই একটা পরিবর্তনেই বদলে যায় বাংলা। ইসরাফিল নামার পর বেশ কয়েকটা আক্রমণ তৈরি হয়। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে দুরন্ত গোল করে সমতা ফেরান নরহরি শ্রেষ্ঠা। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অন্য চেহারায় বাংলা। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে ওড়িশা রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন রবি হাঁসদা, ইসরাফিল দেওয়ানরা। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু তিনকাঠি ভেদ করতে পারছিলেন না রবি, নরহরিরা। অবশেষে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলা। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে গোল করেন রবি হাঁসদা। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে মনতোষ মাঝি ওড়িশার কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জিতে শেষ চারে পৌঁছে গেল বাংলা।
❤ Support Us