Advertisement
  • দে । শ
  • মে ২, ২০২৪

আর অধরা নয় জলের রুপোলী শস্য, বর্ষায় বাঙালির পাতে এবার ‘পুকুরের ইলিশ’

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আর অধরা নয় জলের রুপোলী শস্য, বর্ষায় বাঙালির পাতে এবার ‘পুকুরের ইলিশ’

‘জলের উজ্জ্বল শস্য’ এখন আর অনন্ত অপেক্ষার বিষয় নয়। আর কদিন পরে পুকুরেই মিলবে বাঙালির সাধের ইলিশ মাছ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এবার থেকে পুকুরেও হবে চাষ ইলিশের এবং নদীর থেকেও ভালো হবে তা। ইলিশগুলির ওজন হবে ৬৮৯ গ্রাম । দাম থাকবে নাগালের মধ্যে। নদী-সমুদ্রের প্রাকৃতিক খেলার অপরে আর নির্ভর করে থাকতে হবেনা ইলিশ প্রিয় বাঙালিকে।

‘আইসিএআর-এনএএসএফ প্রজেক্ট ফেজ-টু’র আওতায় এই ইলিশ প্রকল্প ছিল খুবই বড় মাপের , যার জন্য  প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হবে রহড়া ফ্রেশওয়াটার জোন, কাকদ্বীপের ব্র্যাকিশওয়াটার জোন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের জামিত্যা গ্রামের ইন্টারমিডিয়েট জোন। চাষের সময়-পর্বে ছোট ইলিশগুলিকে দেওয়া জু প্লাঙ্কটন যা তাদের অত্যন্ত প্রিয়।

নোনা জলের মাছ ইলিশ সাধারণত বড় নদী এবং মোহনা-সংযুক্ত খালে বর্ষাকালে ডিম পাড়তে সমুদ্র থেকে বড় নদী এবং মোহনা-সংযুক্ত খালে আসে। বেশিরভাগ সময়  সাগরে থাকলেও  বংশবিস্তারের জন্য প্রায় ১২০০ কিমি পথ অতিক্রম করে ভারতীয় উপমহাদেশে নদীতে পাড়ি জমায়। ‘ইলিশ মাছ চাষ করা যায় না’-এবার সেই মিথ ভাঙতে চলেছে। মাছ জালে ধরা পড়ার পর থেকে বরফ দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।
‘জলের রুপোলী শষ্য’ শুধু বাঙ্গালিদের নয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই অতি বিখ্যাত এই মাছ। ভারতীয় উপমহাদেশে পশ্চিমবঙ্গ- বাংলাদেশ ছাড়াও সিন্ধ্রি দের মধ্যেও অসম্ভব জনপ্রিয় এই মাছ। রান্নার পদ্ধতি আলাদা। বাঙালির মত সর্ষে বাটা নয়, সেখানকার রীতি বারবিকিউ করে খাওয়ার। সিন্ধু সভ্যতার এই প্রাচীন বাসিন্দাদের উত্তর পুরুষদের আরাধ্য দেবতা ঝুলেলালের বাহন ইলিশ মাছ। ফলে এই মাছ তাঁদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র।

বর্ষাকালে যখন ইলিশকে কেন্দ্র করে জমে ওঠে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রীর আনন্দ , এবার দেখার নিজের দেশে চাষ করা ইলিশের স্বাদে কতটা জমে ওঠে এবারের বর্ষা। বাঙালি তাকিয়ে আছে সেদিকেই।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!