- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৯, ২০২৩
বিনামূল্যে গুরুবাণী সম্প্রচার নিয়ে অসন্তোষ পাঞ্জাবে। প্রশ্নের মুখে আম আদমির ভগবান

আবার বিতর্কের কেন্দ্রে পাঞ্জাব। অমৃতপাল মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই এখন শিরোনামে অমৃতসর। শিখদের পবিত্র ধর্মস্থান স্বর্ণমন্দিরকে কেন্দ্র করে পাঞ্জাব সরকারের সাম্প্রতিক কার্যকলাপে বিক্ষুব্ধ সে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। প্রশাসনের যুক্তিকে সমর্থন করছেন এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। জনসাধারণের একাংশে অসন্তোষ থাকলেও ভিন্ন সুরও রয়েছে।
শিখদের কাছে আদি গ্রন্থ কথিত গুরুবাণী অত্যন্ত পবিত্র। সাধারণত হরমান্দির সাহিব অর্থাৎ অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির থেকে তার সম্প্রসারণ করা হয়। যার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হয়। সোমবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তাঁর মন্ত্রিসভা গুরুবাণী সম্প্রচার বিনামূল্যে করতে আগ্রহী। প্রয়োজনে শিখ গুরুদ্বারা আইন, ১৯২৫ এ নতুন শর্ত যোগ করবেন তাঁরা। যার ফলে,সমাজের সমস্ত অংশের শিখরা কোনো অর্থব্যয় না করেই গুরুবাণী শ্রবণ করতে পারবে। ভক্তদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনেই এ সিদ্ধান্ত নিতে চান তাঁরা। আগামীকাল ক্যাবিনেটের বৈঠকে এ নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
মান সরকারের এ সিদ্ধান্তে অখুশি হরমান্দির সাহিব কর্তৃপক্ষ। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি। যার পরিচালক মূলত অকালিদের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বে থাকা বাদল পরিবার। বলা বাহুল্য,গুরুবাণীর সম্প্রচার পূর্বেও বিনামূল্যে করবার প্রস্তাব প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে সময়ও তার বিরোধিতা করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান হারজিন্দর সিং শিখদের ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা উচিত নয়। গুরুবাণী সম্প্রচার অত্যন্ত পবিত্র একটি বিষয় যার সঙ্গে একটি সম্প্রদায়ের নৈতিকতাবোধ জড়িয়ে রয়েছে যাকে অবহেলা করা উচিত নয়।
অকালি দলের পক্ষ থেকে দলজিত সিং মান সরকারের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ও শিখদের ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হরমন্দির সাহিব সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি। শিখ সম্প্রদায় নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তার সদস্যদের নির্বাচিত করে। এখানে বলা দরকার শিখ গুরুদ্বারা আইন, ১৯২৫ সংসদে পাশ করা হয়েছিল। যার পরিবর্তনের অধিকার কেন্দ্রীয় আইনসভারও নেই। তাঁর মতে, কমিটির সদস্যরা এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। সেখানে নতুন কোনো শর্ত কার অঙ্গুলিহেলনে যোগ করতে চাইছে মান সরকার? পরোক্ষে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন আপ প্রধান কেজরিওয়ালের দিকে। বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় দলই রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপ নিয়ে বিক্ষোভ জানিয়েছে। যদিও হাত শিবিরের নেতা নভজ্যোতসিং সিধু মান প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
❤ Support Us