- দে । শ
- অক্টোবর ১১, ২০২৩
ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মোকাবিলায় ইসরায়েলে অস্ত্রবাহী মার্কিন বিমান। স্বাভাবিক মিত্রের পাশে ওয়াশিংটন। বাইডেনকে ফোনে নেতানিয়াহুর ধন্যবাদ

মিত্রকে সুরক্ষা দিতে ওয়াশিংটন থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ভর্তি বিমান পৌঁছল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইসরায়েলে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র জঙ্গি বাহিনীকে প্রতিহত করতে ওই অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হবে। ইসরায়েল এখন প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত। দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অস্ত্র পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে খবর।
আমেরিকা ইসরায়েলে উন্নত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠিয়েছে। ফিলিস্তানি সন্ত্রাসী বনাম ইসরায়েলের এই যুদ্ধে যে তারা ইসরায়েলের পাশেই আছে, সেটা বাইডেন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু আমেরিকা নয়, একাধিক পশ্চিমী দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন করছে এই ইস্যুতে। ভারতও এই কঠিন সময়ে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করে ইসরায়েলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। এমনকি, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে বলে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার ভোরে আমেরিকার বিমান দেশের দক্ষিণ প্রান্তে নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে নেমেছে। ওই বিমানে যে গোলাবারুদ, অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হয়েছে, তা যুদ্ধে ব্যবহার করবে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম আমেরিকা ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাল।
গত ৭ অক্টোবর শনিবার ভোরে ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসরায়েল আক্রমণ করে। পর পর রকেট এবং বোমার হামলা চলতে থাকে ইহুদি দেশটির উপর। ইসরায়েল পাল্টা প্রত্যাঘাত করে এই হামলার বিরুদ্ধে। কালক্ষেপ না করে, নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হুঁশিয়ারি দেন এবং পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। সেই থেকে অনবরত যুদ্ধ চলছে। এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের মোট তিন হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই যুদ্ধে। আর শেষ কোথায় তা নিয়ে চিন্তায় আন্তর্জাতিক মহল।
❤ Support Us