- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- মে ২১, ২০২৪
নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারির আবেদন, প্রতিবাদ বাইডেনের

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এই আবেদনের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলির প্রসিকিউটরের আবেদনের নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সতর্ক করে দিয়েছেন যে, হেগের এই পদক্ষেপ গাজা সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি আলোচনার ক্ষতি করতে পারে।
ইজরায়েলে হামাসের হামলা ও তার রেশ ধরে গাজায় চলমান যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও সিনওয়ারের বিরুদ্ধে করিম খান গ্রেফতারির কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টেরও জেলা হেফাজতের দাবি জানিয়েছেন । আর এই গ্রেফতারি পরোয়ানা কথা উঠে আসতেই মিত্র বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বাঁচাতে আসরে নেমেছেন জো বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইডরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য আইসিসি–র প্রসিকিউটরের আবেদন আপত্তিজনক। এই প্রসিকিউটর যা-ই বোঝান না কেন, ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে কোনও তুলনা হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর নিরাপত্তার জন্য সবসময় ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াবে।’ ২০০২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অপরাধের জন্য শেষ অবলম্বন আদালত হিসাবে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইজরায়েল কেউই আইসিসি–র সদস্য নয়।
গাজায় হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের বিরুদ্ধে আইসিসি–র গ্রেফতারি পরোয়ানাকে সমর্থন করেছেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না যে এই বিষয়ে আইসিসি–র এখতিয়ার আছে।’ ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসিসি–র প্রসিকিউটরের গ্রেফতারের আর্জিকে মৌলিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সিদ্ধান্তটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর চলমান প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।’
নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়ালেও ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে মামলা করার আইসিসি–র প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে ওয়াশিংটন। প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন সোমবার বলেছেন যে, ‘ইউক্রেনে কথিত যুদ্ধাপরাধের তদন্তে ইজরায়েলের পদক্ষেপের নিন্দা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসিসিকে সহায়তা করবে। ইউক্রেনে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে আমরা আইসিসি–কে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখব। এখন সেই কাজটি চালিয়েও যাচ্ছি।’
❤ Support Us