Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ২৫, ২০২৪

ইউপিএ সরকার এবং বংশবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতীশ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ইউপিএ সরকার এবং বংশবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতীশ

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ঘোষণা করেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই, বাংলায় তৃণমূল একাই লড়বে। জাতীয় স্তরে সিদ্ধান্ত হবে ভোটের পর। মমতার এই বক্তব্যের পরই ইউপিএ সরকার ও বংশবাদী রাজনীতি নিয়ে সরব হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পাশাপাশি তিনি বললেন, ইউপিএ সরকারকে তিনি অনুরোধ করেছিলেন যাতে কর্পুরী ঠাকুরকে ভারত রত্ন দেওয়া হয়, তাঁর অনুরোধ মান্যতা পায়নি। প্রসঙ্গত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার কর্পুরী ঠাকুরকে মরনোত্তর ভারত রত্ন সম্মান প্রদানের কথা ঘোষণা করেছে। এই প্রসঙ্গে নীতীশ বংশাবাদী রাজনীতি ও ইউপিএ সরকারের সমালোচনা করে কর্পুরী ঠাকুরকে সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান প্রদানের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের গুণগান করেন। কর্পুরী ঠাকুর ভারতীয় রাজনীতিতে সংরক্ষণ আন্দোলন ও সামাজিক ন্যায় বিচার আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব বলে পরিচিত।
কর্পুরী ঠাকুরের জন্মশতবার্ষিকীতে জেডিইউ-র একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নীতীশ কুমার বলেন, “২০০৫ সালে বিহারে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমি কর্পুরী ঠাকুরকে ভারত রত্ন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে চলেছি। অবশেষে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার আমার দাবি পূরণ করেছে, যার জন্য আমি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
নীতীশ বলেন, “আমাকে কর্পুরী ঠাকুরের ছেলে ও সাংসদ রামনাথ ঠাকুর বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ডেকেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করেননি। তবুও আমি সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি তাঁকে বলতে চাই, আমরা যা করিনি সেটা  করে আপনি কৃতিত্ব নিতেই পারেন।”
বংশবাদী রাজনীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নীতীশ বলেন, “আজকাল অনেক লোক রাজনীতিতে তাদের নিজস্ব পরিবারকে প্রচারে আনার বিষয়ে বেশি মনোযোগী কিন্তু কর্পুরীজি তাঁর জীবনে কখনও এই কাজ করেননি।”
কর্পুরীর কাছ থেকে তিনি প্রেরণা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমিও আমার নিজের পরিবারকে কখনও প্রচারে আনিনি; বরং আমি দলের অন্যদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজই করেছি।” নীতীশ আরও বলেন, “সমাজতান্ত্রিক নেতা কর্পুরী ঠাকুরের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলেকে রাজনীতিতে এগিয়ে দিয়েছি।”
মজার বিষয় হল, নীতীশের জোট শরিক আরজেডি কর্পুরীর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের জন্য এখানে একটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল, যে অনুষ্ঠানের প্রধান হিসাবে ছিলেন, লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর পুত্র বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।

  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!