Advertisement
  • দে । শ
  • মে ১১, ২০২৩

৯ মে, পাকিস্তানের ইতিহাসে আরও একটি কালো দিন, বললেন বিলাওয়াল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
৯ মে, পাকিস্তানের ইতিহাসে আরও একটি কালো দিন, বললেন বিলাওয়াল

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেফতারের পর সেই দেশে সংঘর্ষ পরিস্থিতি দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এদিকে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন, ৯ মে, দেশের ইতিহাসে ‘আরেকটি কালো দিন।’

দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং অন্যান্য পিটিআই নেতাদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জুড়ে এখন সহিংস সংঘর্ষের চলছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বৃহস্পতিবার বলেছেন, “৯ মে,হচ্ছে দেশের ইতিহাসে আরেকটি কালো দিন, ওই দিনই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই-র চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বেক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “পাকিস্তানের ইতিহাসে বেশ কিছু দিনকে “কালো দিন” হিসাবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন সেই তালিকায় ৯ মে তারিখটিকেও যোগ করা হল।” এই সাংবাদিক সম্মেলনে বিলাওয়ালের সঙ্গে ছিলেন সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এবং প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী শারজিল মেমন।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার থেকেই পাকিস্তানে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয় এবং ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর বেশ কয়েকটি শহরে কয়েক বহু মানুষ আহত হয় এবং বিক্ষোভকারীরা সামরিক ভবনে পর্যন্ত হামলা চালায়।

বৃহস্পতিবারও পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলির রাস্তায় আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ থাকলেও এর পাশাপাশি উত্তেজনাও রয়েছে। পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে, বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা। ইসলামাবাদ পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, সৈন্যরা রাজধানী শহরে পৌঁছেছে।

ইসলামাবাদ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর থেকে বিক্ষোভকারীরা সামরিক ভবনে হামলা চালিয়েছে, লাহোরে একজন শীর্ষ সেনা জেনারেলের বাসভবন ভাঙচুর করেছে এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ভবন ও সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে।

বিলাওয়াল বলেছেন, “আমরা অর্থাৎ পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি, কখনই কোনো রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলে সেই বিষয়টি সেলিব্রেট করি না, কারণ আমরা বিশ্বাস করি কোনও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলে তা রাজনীতির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। তাই বলতে পারি যে ইমরান খানের গ্রেফতারিতে আমরা মিষ্টি বিতরণ করিনি।” তিনি আরও বলেন, “তার দল সর্বদাই ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো বা এনএবি-এর বিরুদ্ধে ছিল। অথচ পিটিআই সর্বদা দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাকে রক্ষা করেছে এবং এটি থেকে উপকৃত হয়েছে।”

বিলাওয়াল ভুট্টো আরও অভিযোগ করে বলেন, “খান সাহেব এনএবিকে বাঁচাতে একটি প্রচার শুরু করেছিলেন। আমরা এর সংশোধনের দাবি করলে তিনি বলেছিলেন যে আমরা এনআরও চাইছি এবং প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিষয়ে আমরা একমত নই। এখন যখন নতুন আইন চালু করা হয়েছে তখন পিটিআই প্রধানই তার থেকে সুবিধাভোগী হয়েছেন।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!