- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
প্রথাগত শিক্ষা ছাড়াই কাঠ খোদাইয়ের অসাধারণ শিল্পকর্ম নির্মান করছেন বসিরহাটের বিশ্বজিৎ প্রামানিক

শিল্পচর্চার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছাড়াই কাঠ খোদাইয়ের অসাধারণ শিল্পকর্ম নির্মান করছেন বসিরহাটের বিশ্বজিৎ প্রামাণিক। তাঁর তৈরি কাঠের তৈরি শিল্পকর্ম পাড়ি দিচ্ছে দূর দূরান্তে। অন্য রাজ্য, এমনকী বিদেশেও বিশ্বজিৎবাবুর তৈরি কাঠের ভাস্কর্য কদর পেয়েছে। বছর ৫০–র বিশ্বজিৎ প্রামাণিক শিশু বয়স থেকেই ছবি আঁকা, বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে হাতের কাজ করতেন বাড়িতে। মাটি দিয়ে মূর্তি, প্রতিমা তৈরি করতেন। সবার প্রসংশাও পেতেন। অভাবের সঙ্গে লড়াই করতে করতে পারিবারিক পেশায় না গিয়ে তিনি ১৬ বছর বয়সে কাঠের কাজ শিখতে লেগে পড়েন। তবে তা নিছক কাঠের আসবাব তৈরির জন্য নয়। নিজের শিল্প সত্তাকে মেলে ধরতে কাঠের ওপর খোদাই করে ভাস্কর্য বানাতে শুরু করেন। বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ নির্দ্বিধায় বলেন, ‘শুরুতে আমাদের মত মৎস্যজীবী পরিবারের ছেলে আবার কাঠের কাজ করবে এটা মেনে নিতে পরিবারের অনেকের সময় লেগেছে। তাও আবার প্রধাগত শিল্পচর্চার বাইরে গিয়ে এই কাজে নিজেকে সঁপে দেওয়াটা বিলাসিতা বলেই অনেকে মনে করতেন। কিন্ত এখন সেটা দিয়েই আমার কাছে পেশা বলুন, আর শিল্পচর্চাই যাই বলুন মানুষের মন জয় করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কলকাতায় থেকে কাজ করেছি। তারপর বসিরহাটের ভ্যাবলার কাছে থেকে কাজ করতাম। সেখান থেকেই আমার পরিচিতি। এখন নিজের এলাকায় , রঘুনাথপুর হাইস্কুলের সামনে আমার ‘মহারাণী স্টুডিও’–য় বসে কাজ করি। জাহাঙ্গীর সর্দার ও ভোলানাথ মন্ডল দুজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।’ বিশ্বজিতের বেশিরভাগ কাজই বাইরে চলে যায়। মেহগনি ও সেগুন কাঠের ওপর নানা ভাস্কর্য নিয়ে জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে দেশের নানা প্রান্তে প্রদর্শনীতে ডাক পড়ে বিশ্বজিৎবাবুর। তিনি জানালেন, একসময় রেলের বহু কাজ করেছি। হাওড়া–বর্ধমান শাখায় কাটা গাছে যে সব কাঠ খোদাইয়ের শিল্পকর্ম চোখে পড়ে তা আমার হাতে তৈরি। একমাত্র মেয়ে পূজাকেও শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলছেন তিনি।
❤ Support Us