Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩

লোকসভার আগে উত্তরে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বিজেপি দায় চাপাচ্ছে বিরোধীদের উপরে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লোকসভার আগে উত্তরে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বিজেপি দায় চাপাচ্ছে বিরোধীদের উপরে

উত্তরে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিক্ষুব্ধ বিজেপিরা গেরুয়া আর সবুজ ফ্লেক্সে রায়গঞ্জ শহর ছেয়ে দিয়েছে। ফ্লেক্সে লেখা হয়েছে, “আগামী নির্বাচনে বহিরাগত প্রার্থী নয়, ভুমিপুত্র কিংবা ভুমিপুত্রীদের প্রার্থী করতে হবে।” এই নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরীর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষের মুখে। আসন্ন লোকসভায় নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বালুরঘাটের বাসিন্দা দেবশ্রী চৌধুরীকে আর যেন দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী না করা হয়, সেই দাবিতেই প্রতিবাদ করছে উত্তরের বিজেপি দলের একটি বড় অংশ। ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে দেবশ্রী চৌধুরীর পরিবর্তে বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী কিংবা শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষের নাম ভাসছে। এরই মাঝে দেবশ্রী চৌধুরী ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি স্টেশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন, যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি দলেরই একাংশ। সেই কারণেই আসরে নেমেছেন দেবশ্রী চৌধুরীর বিরোধী গোষ্ঠী।

তবে এই বিষয়ে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী জানিয়েছেন, “বিজেপি তৃণমূলের মতো ব্যক্তিগত দল নয়। তাই প্রার্থী হওয়া আমার ইচ্ছাধীন নয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে।”

এই প্রসঙ্গে দলে দেবশ্রীদেবীর অনুগামী বলে পরিচিত, বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “শুনছি, লোকসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হতে যাচ্ছে। কিন্তু রায়গঞ্জে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, তাই ভোটে হারার আগাম আঁচ করেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়াতে বিরোধীরাই সম্ভবত এই পোস্টার লাগিয়েছে, বিষটি নিয়ে খোঁজ নেব।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে  তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেছেন, “এই জেলায় ২০১৯-এর জমি আর বিজেপির নেই, তাই রায়গঞ্জে সেটা বুঝেই আগাম বাজার গরমের জন্য এসব পোস্টার নিজেরাই লিখছে। তবে তাতে কোনও  কাজ হবে না।” এদিকে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “ইন্ডিয়া জোটে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তার জন্য নিজেদের জমি ধরতে নতুন নতুন কৌশল।”
তবে প্রশ্ন একটাই থেকে যাচ্ছে, সেটা হল, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উত্তরে যে প্রকট হচ্ছে সেটা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হচ্ছে, তাদের বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বোঝাতে ফ্লেক্স দিয়ে রায়গঞ্জ ঢেকে দেওয়ার কোনও দরকার নেই। এসব আসলে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই বহিঃপ্রকাশ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!