- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২৯, ২০২৪
কাটোয়া মহকুমা ভোটে অর্ধেক বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি বিজেপি

আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। কাটোয়া মহকুমার তিন বিধানসভা কাটোয়া, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের অর্ধেক বুথেই ভোটের দিন এজেন্ট দিতে পারেনি বিজেপি। এই তথ্য সামনে আসায় দলের দৈন্য আরও স্পষ্ট হল বলে দলে গুরুত্ব হারানো বহু বিজেপি নেতার আক্ষেপ। মহকুমায় মোট বুথের সংখ্যা ৮৮১টি। তার মধ্যে মাত্র ৪৪ শতাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পেরেছিল বিজেপি। এজেন্ট দিতে পারা বুথের সংখ্যা ৩৯০। ২০১৯-র লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্ব লোকসভার ৭টি বিধানসভার মধ্যে একমাত্র কাটোয়া বিধানসভাতেই তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পায় বিজেপি। আবার ২০২১-র বিধানসভা ভোটে কাটোয়ায় তৃণমূল জিতলেও কাটোয়া শহরে তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পায় বিজেপি। কাটোয়া বিধানসভায় ৩০২টি বুথের মধ্যে ১৩০টি, কেতুগ্রামে ২৯৬টি বুথের মধ্যে ১৩৭টি ও মঙ্গলকোট বিধানসভায় ২৮৩টি বুথের মধ্যে মাত্র ১২৩টি বুথে এজেন্ট দিয়েছিল বিজেপি। এমন বেহাল অবস্থার জন্য দলের বর্তমান নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দুষছেন বিজেপিরই বহু নেতা-কর্মী।
নির্বাচন-নির্ঘন্ট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বুথে বুথে শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিটি বুথে শক্তিশালী বুথ কমিটি গঠন, বুথ সশক্তিকরণ, গ্রামে চলো’র মত নানা কর্মসূচি নিয়েছিল। তা যে কাগজে-কলমেই, তার অকাট্য প্রমাণ অর্ধেক বুথেও এজেন্ট জোগাড় করতে না পারা। সব বুথে এজেন্ট দিতে না পারার কারণ হিসেবে কাটোয়ার বিজেপি নেতা অশোক রায় সেই পুরনো ‘শাসকের সন্ত্রাস’ তত্ত্বকেই খাড়া করলেন।
দলেরই একটি অংশের কথায়, কাটোয়ায় বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু এবারের ভোটে কাটোয়া শহরে মাত্র একদিন প্রচারে এসেছিলেন সংশ্লিষ্ট বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। ঘন্টাখানেকও ছিলেন না। শহরে দেওয়াল লিখন, পোস্টার-ব্যানার টাঙানো হয়েছে নম নম করে। প্রচারে তেমন সক্রিয়তা দেখা যায়নি মঙ্গলকোট বা কেতুগ্রামেও। দলেরই বহু পুরনো কর্মী ভোট পর্বে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। উল্টোদিকে কাটোয়া শহরে দলের ভোট ফেরাতে মরিয়া তৃণমূল এবারের প্রচারকে কার্যত বুথ স্তরে নামিয়ে আনে। কাটোয়ার মতুয়া সম্প্রদায়ের সিংহভাগ ভোটও এবার গিয়েছে ঘাস-ফুলের ঝুলিতে। আবার ভোটের প্রচারে নেমে বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী কবিয়াল অসীম সরকার বা বর্ধমান-দুর্গাপুরের পদ্মপ্রার্থী দিলীপ ঘোষ মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে মহিলাদের সম্পর্কে যেভাবে অশালীন কথা বলেছেন, তারজন্য বহু পদ্ম সমর্থকও বিজেপি থেকে মুখ ঘুরিয়েছেন বলে মনে করছেন দলেরই একটি অংশ। তবে শেষ হাসি কে হাসবে, তারজন্য অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।
❤ Support Us