- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
দলীয় শর্ত মানেননি, তাই অনুপমাকে পদ থেকে সরালেন জেপি নাড্ডা
দলের শর্ত মানেননি, তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুপম হাজরাকে। ২০২০ সাল থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে ছিলেন বোলপুরের প্রাক্তন এই সাংসদ। মঙ্গলবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে জাতীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত জানার পর অনুপম হাজরা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “পদ থেকে সরাবার তিন ঘণ্টার মধ্যে বার্তা, কিছু শর্ত মেনে চললে আবার সব আগের মতো!!!”
বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরার দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই দলের নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করছিলেন অনুপম। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া মন্তব্য প্রকাশ্যে করছিলেন অনুপম। এরপর, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থাও নিয়েছিল বিজেপি। দলের অধিকাংশ কর্মসূচি থেকেই তাঁকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তাও সরিয়েও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও দমানো যায়নি অনুপম হাজরাকে। এরপরই মঙ্গলবার, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে জাতীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপির এই বিতর্কিত নেতাকে।
মঙ্গলবার বিজেপির মহাসচিব অরুণ সিং এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার নির্দেশেই সরানো হয়েছে অনুপম হাজরাকে। অবিলম্বে তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। কলকাতায় থাকাকালীনই তিনি এই নির্দেশ জারি করেছেন। অথচ, অনুপম হাজরার সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নাড্ডা-অমিত শাহর সফরের ছবি রয়েছে। নাড্ডা, অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদির করা প্রায় সব টুইটই, রিটুইট করে থাকেন তিনি।
তবে, রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন অনুপম হাজরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সত বিজেপি কর্মীদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকি, সদ্য ব্রিগেড ময়দানে যে লক্ষ্য কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি, সেই অনুষ্ঠানেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিআইপি কার্ড পোস্ট করে সেই দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন অনুপম। গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের কার্ড বিলির নামে, নলহাটির বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করেছিলেন জনৈক অনিল সাহা। সেই পোস্টটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভাগ করে নিয়ে অনুপম হাজরা লিখেছিলেন, “এটা যদি সত্যি হয় তাহলে তো সাংঘাতিক ব্যাপার! শেষ পর্যন্ত ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’- এখান থেকেও দুর্নীতি, টাকা উপার্জন! হায়রে – এরা আদৌ হিন্দু? অবশ্য সংগঠনের কাছের লোক হলে শত চুরি এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোনও পরিবর্তন হবে না, উল্টে মেয়াদকাল আরও বাড়তে পারে! আর কতদিন যে ‘চোর মুক্ত বিজেপি চাই’ বলে গলা ফাটাতে হবে কে জানে!?”
❤ Support Us