- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ১৬, ২০২৩
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যু-র অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, শুক্রবার শুনানির সম্ভাবনা

বুধবার সন্ধ্যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে, এই মৃত্যুর ঘটনায় এ বার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। শুক্রবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে।
সজল ঘোষ বিজেপি নেতা এবং কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সজল ঘোষের করা এই মামলায় হাই কোর্টে মোট তিনটি আর্জি জানানো হয়েছে। এক, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। দুই, কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে হবে। তিন, আমহার্স্ট থানার সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত এই দাবিতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনে মৃতের পরিবারের সদস্যরা দফায় দফায় অবরোধ করে।
বুধবার মধ্য কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ করে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধ্যায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় কলেজ স্ট্রিট। পরিবারের দাবি, একটি চুরি করা মোবাইল কেনার অভিযোগে ওই যুবককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন মারধরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান সজল ঘোষ। একই সঙ্গে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে অনতিবিলম্বে অপসারনের দাবিও সজল ঘোষ তোলেন।
মৃত যুবকের নাম অশোক সাউ, তাঁর একটি পানের দোকান আছে। অশোককে চুরি যাওয়া মোবাইল বেআইনি ভাবে কেনার অভিযোগে তলব করা হয়েছিল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়। সেখানে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, খুন তো দূরের কথা, ওই ব্যক্তিকে মারধরই করা হয়নি। তিনি নিজেই থানায় অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। তাতেই মাথা ফেটে যায় তাঁর, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসে। “অসুস্থ” ব্যক্তিকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও মধ্য কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় করা একটি ফেসবুক লাইভের দৃশ্যে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে রয়েছে থানার একটি ঘরের মেঝেতে । তাঁর দু’চোখ খোলা। দেহ নিথর। আত্মীয় স্বজনদের চিৎকার চেঁচামেচির জবাবে কোনও কথা বলছেন না থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা। পরে অবশ্য তাঁদের দেখা যায় কিছুটা সক্রিয় হয়ে ওই যুবকের দেহটিকে সেখান থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, থানায় ডেকে নিয়ে অশোককে পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। পুলিশের বন্তব্য খারিজ করে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, যদি অশোক মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতো তাহলে পুলিশের ডাকে সে থানায় যেত? আসলে পুলিশ অশোককে পিটিয়ে মেরে তারপর তার স্নায়ুর সমস্যা আছে বলে নিজেদের দোষ আড়াল করতে চাইছে, স্নায়ুর কোনও সমস্যা অশোক সাউয়ের কোনও দিন ছিলই না।
❤ Support Us