- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ২৪, ২০২৩
শুভেন্দু: বাংলা খুনিদের মুক্তাঞ্চল, শান্ত করতে দাওয়াই এনকাউন্টার

রাজ্যের অপরাধমূলক কায়কারবার রুখতে উত্তরপ্রদেশের এনকাউন্টার দাওয়াই এবার বাংলায় চালুর দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীর মৃত্য়ুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই শুভেন্দুর এই এনকাউন্টার দাওয়াইয়ের সুপারিশে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেছে। শুভেন্দুর বক্তব্য, “মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আমলে খুনিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে বাংলা। যোগী আদিত্য়নাথের মতো লোককে এ রাজ্যে প্রয়োজন। এই ধরনের ঘটনায় এনকাউন্টার করা উচিত।”
মাটিগাড়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়েই এনকাউন্টারের সুপারিশ করে শুভেন্দুর বক্তব্য, “পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ আমাদের শৈশবকে। এই সমস্ত ছোট ছোট মেয়ে…এখনও পরিণতই হয়নি…মমতার রাজত্বে খুনিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে বাংলা।”
মাটিগাড়ার ঘটনার নিন্দা করেছে তৃণমূলও। কিন্তু শুভেন্দুর সুপারিশ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। কারণ যোগীরাজ্যের অনুকরণে যে এনকাউন্টারের সুপারিশ শুভেন্দু করেছেন, বরাবরই সারা দেশে এই এনকাউন্টার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে । কখনও বিচারের আগেই এনকাউন্টারের নাম গুলি করে অভিযুক্তকে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবার গুলি করে খুন করে, এনকাউন্টার বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাই বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আমলে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার এনকাউন্টার করে বহু যুবককে হত্যা করেছে।
মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি পরিষদীয় দলের বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মমতার আমলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। শীঘ্রই কড়া পদক্ষেপ করার দাবিও জানান সকলে।
গত ২১ অগাস্ট দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়ায় কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় কিশোরীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ছ’ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর ১৫-র ওই ছাত্রীকে ভুলিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত। কিশোরী ধর্ষণে বাধা দিলে, তাঁর মাথা থেঁতলে খুন করা হয়।
স্কুলের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ওই কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মৃত কিশোরীর বন্ধুবান্ধবদেরও। এর পর সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। শেষে বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
❤ Support Us