- দে । শ
- অক্টোবর ১৪, ২০২৩
খেজুরি থানায় ঢুকে ওসি-কে না পেয়ে পুলিশ কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

“এই আচারণগুলি খুব খারাপ। আমাদের কাছে রেকর্ড থাকবে। আগামীদিনে বিজেপি রাজ্যে আসবে। তখন কাজ করতে হবে। আপনাদের অবস্থা হবে রাজীব সিনহার মতো। ১৫ বছর আরও কাজ করতে হবে।” খেজুরি থানায় ঢুকে ওসি-কে না পেয়ে এভাবেই পুলিশ কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগে থানায় শনিবার খেজুরি ঢুকে পুলিশকে এই ভাবেই হুমকি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। রীতিমতো মিছিল করে খেজুরি থানায় ঢুকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূর্তে একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে নিশানা করে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কামদুনি থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে তোপ রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজো-বোনাসে বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, “কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস ৫ হাজার টাকার বেশি। অথচ রাজ্য পুলিশের আওতায় থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস মাত্র ২ হাজার। দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রশাসন চালালে এটাই হবে। ওঁদের চোখে পশ্চিমবঙ্গের বাকি অংশ ঝাপসা। কেন এই বৈষম্য? স্বরাষ্ট্রসচিব ব্যবস্থা নিন।”
যদিও পরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ খারিজ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কিছু অসুস্থ রাজনৈতিক দল বা ব্যাক্তি কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে বিভেদ করার চেষ্টা করছে। রাজ্য পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়াররাও পুজোর বোনাস হিসেবে ৫ হাজার ৩০০ টাকা পাবেন। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়াররা সম পরিমাণ বোনাস পাবেন। আশা কর্মীরাও ৫ হাজার ৩০০ টাকা পুজো বোনাস পাবেন।”
২০২২ সাল, গঙ্গা পেরিয়ে হাওড়ায় পৌঁছয়নি শুভেন্দুর নেতৃত্বাধীন বিজেপি-র নবান্ন অভিযান মিছিল। তার আগে কলকাতাতেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি, বচসায় জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি, সেই সময় এক মহিলা পুলিশ কর্মী এ পিছু হটতে বলেল ফুঁসে উঠেছিলেন শুভেন্দু। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।”
মূলত বাইশের সেপ্টেম্বরে তিন দিক থেকে নবান্ন ঘেরার লক্ষ্য ছিল বিজেপি-র সেই মতো পিটিএস থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে নবান্ন অভিমুখে রওনা দিয়েছিলেন শুভেন্দু, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহারা। কিন্ত শুরুতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেডের তুলে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তাতে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
❤ Support Us