- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ চায় গেরুয়া শিবির, অনড় রাজমাতা।সিদ্ধান্ত পরিষদীয় দলের বৈঠকে
রাজমাতা বিরূপ, তাই রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে জটিলতায় পড়েছে মরু রাজ্যের বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জয়পুরে গিয়েও রাজমাতার মানেভঞ্জন করতে পারেননি। ফলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রকাশ এখনও হল না। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার মধ্যপ্রদেশে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করে চমক দিয়েছে বিজেপি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে কার্যত রাজনৈতিক ভাবে নির্বাসিত করেছেন মোদি-শাহ নেতৃত্ব। তবে রাজস্থানে মোদি-অমিত নেতৃত্বের কোনও কৌশল কাজ করছে না।
বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাওয়ার দাবিতে সরব রয়েছেন। তাই বিজেপির সঙ্কট মরুরাজ্যে। বিজেপি চাইছে রাজমাতাকে সরিয়ে নতুন কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে। তাই রাজমাতার এই দাবি আরও জোরদার হয়েছে। অতীতে বাজপেয়ী-আডবানীর নেতৃত্বে যখন বিজেপি চলত তখন প্রায় একই সঙ্গে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা, রমন সিং এবং শিবরাজ সিং চৌহান। ২০০৩ সালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। বসুন্ধরা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দুটি মেয়াদে মোট দশ বছর।
মরু রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর দাবিদারের জট কাটাতে মঙ্গলবার রাজস্থানে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই বসুন্ধরার ভাগ্য নির্ধারিত হবে। তবে আশঙ্কা একটাই, বসুন্ধরাকে মুখ্যমন্ত্রী না করলে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না তো? কারণ, বসুন্ধরা তো শুধু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, রাজ পরিবারের রক্তও রয়েছে তাঁর শরীরে। সোমবারও অনেক বিধায়ক রাজমাতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মোদি-শাহদের কার্যশৈলী দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, রাজ্যে রাজ্যে প্রশাসনিক শীর্ষ স্তরে নতুন মুখ তুলে আনা শুরু হয়েছে। আর তার মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা দূর করতে চাইছেন মোদি-শাহ। বিজেপি চাইছে, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার আঁচ যাতে লোকসভা ভোটে না পড়ে। সেই লক্ষ্যে সদ্য বিধানসভা জয়ী রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্ব নতুন মুখকে মুখ্যমন্ত্রী করার দিকে নজর দিয়েছে।
❤ Support Us