- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২, ২০২৩
কুস্তিগীরদের আন্দোলন নিয়ে বিজেপি সাংসদের ভিন্ন সুর, সমস্যা সমাধানে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি রেয়েছে

কুস্তিগীরদের প্রতিবাদে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি দল এ মামলায় খেলোয়াড়দের থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেছে। তবে, দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপির কেউ কেউ তাঁদের লড়াইকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন হরিয়ানার সাংসদ ব্রিজেন্দ্র সিং । এবার সে তালিকায় যুক্ত হল মহারাষ্ট্র থেকে আগত সংসদ সদস্য প্রীতম মুন্ডে। ন্যায় বিচারের দাবিতে ক্রীড়াবিদদের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, আমি সরকারের অংশ। তবে এটা স্বীকার করতে হবে, যেভাবে কুস্তিগীরদের সঙ্গে আমাদের কথা বলা উচিত ছিল, সেটা হয়নি।
মহারাষ্ট্রের প্রয়াত বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা পঙ্কজা কদিন আগেই দলের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিজেপিতে আছি, তবে বিজেপি আমার দল না। এমন মন্তব্যর পর শোরগোল পড়ে গিয়েছিলে দলের অভ্যন্তরে । বড়বোনের পথ অনুসরণ করেই এবার পার্টিকে প্রশ্নের মুখে ফেললেন লোকসভার সদস্য প্রীতম। কুস্তিগীরদের লড়াই নিয়ে বললেন, কোনও মহিলা যখন এমন অভিযোগ করছেন, তখন তা সত্য বলে ধরে নিয়ে তদন্ত করা উচিত। তা সে যেকোনও দল বা যেকোনও সরকার হতে পারে। এমন ধরনের আন্দোলনকে যদি সরকার গুরুত্ব না দেয়, তাহলে সেটা ঠিক হচ্ছে না। আন্দোলনের প্রতি সরকারের যথেষ্ট নজর দেওয়া উচিত। সাংসদের এমন মন্তব্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি দল এ ব্যাপারে আদৌ কতটা সংবেদনশীল হবে সে প্রশ্ন উঠছে।
যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার ও কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলেছে যন্তর মন্তরে। তার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, যৌন লালসা চরিতার্থ করতে মহিলা কুস্তিগীরদের অনভিপ্রত ভাবে স্পর্শ, ভয় দেখানো ও ঘুষ দেওয়ার। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়াও নাবালিকা এক খেলোয়াড়কে খারাপভাবে ছোঁয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে পস্কো আইনে আলাদা ভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগই ২৮ এপ্রিল তারিখে দায়ের করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির সামনে সাত ক্রীড়াবিদ যে বয়ান দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ ভাবে রেকর্ড করা হয়নি। অভিযুক্তকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ব্রিজভূষণ আগাগোড়াই তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার সমর্থনেও অনেকে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দিল্লির নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনও তাকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল । তাই অভিযোগ যাই থাক, যতই গুরুতর হোক ক্ষমতা যখন হাতে থাকে, আইনের দাড়িপাল্লাও একটি নির্দিষ্ট দিকে ঝুকে থাকে। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির ঘটনা সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রাখল।
❤ Support Us