Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুলাই ১৫, ২০২৪

লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও সংখ্যালঘু পদ্ম শিবির, চার সাংসদের অবসরে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ মোদি- শাহের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও সংখ্যালঘু পদ্ম শিবির, চার সাংসদের অবসরে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ মোদি- শাহের

লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও শক্তি হারাল বিজেপি। শনিবার চার পদ্ম-সাংসদ অবসর নেওয়ার পর রাজ্যসভায় তাদের বর্তমান সাংসদ সংখ্যা ৮৬। কেন্দ্রের শাসক জোট এনডিএ-র রাজ্যসভায় সাংসদ সংখ্যা ১০১ এ এসে দাঁড়িয়েছে। গত বছর বিজেপি একাই রাজ্যসভায় ১০২ আসন দখল করেছিল।
অবসরপ্রাপ্ত চার সাংসদ হলেন রাকেশ সিনহা, রাম সকল, সোনাল মান সিং , মহেশ জেঠমালানি। ওই চার সাংসদ জোট নিরপেক্ষ সদস্যরূপে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটবদ্ধ হয়েছিলেন। শনিবার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাঁরা অবসর নেন।
রাজ্যসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ২৪৫।বর্তমানে ২২৫ জন সাংসদ রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে গেলে কোনও রাজনৈতিক দলের ১১৩ টি আসন দখলে রাখা আবশ্যক। বর্তমানে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার লক্ষ্যে আবারও নতুন শরিকের খোঁজ করছে পদ্ম শিবির।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ সংখ্যা ৮৭। কংগ্রেসের তরফে সদস্য সংখ্যা মাত্র ২৬। তৃণমূলের ১৩, আম আদমি পার্টি, ডি এম কে দলের ১০ জন করে সাংসদ রয়েছেন রাজ্যসভায়। তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর বিআরএস-এর সাংসদ ও নির্দলেরা বাকিগুলি আসনগুলি ধরে রেখেছেন৷
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যসভায় আরেকজন সাংসদ অবসর নিতে পারেন। তখন আরও শক্তি হ্রাস পাবে বিজেপির। রাজ্যসভায় কেন্দ্রের সুপারিশে ১২ জনকে মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এদের মধ্যে ৭ জন নিরপেক্ষ সদস্য থাকেন। বর্তমানে ১ ৯টি পদ শূন্য রয়েছে। তার মধ্যে জম্মু কাশ্মীরের ৪ টি আসন শূন্য রয়েছে। এছাড়া অসম, বিহার ও মহারাষ্ট্র থেকে দুটি করে, হরিয়ানা, তেলাঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ত্রিপুরা থেকে একটি করে পদ শূন্য রয়েছে ।
রাজ্যসভায় এহেন পরিস্থিতিতে এবার ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকের মুখাপেক্ষী হতে পারেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। ওড়িশায় ক্ষমতা হারানোর পর সে রাজ্যে শাসক দলের সঙ্গ ছেড়েছে বিজু জনতা দল। ফলে রাজ্যসভায় শাসক দলের মুখ রক্ষায় বিজেপির দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেও পারেন নবীন। রাজ্যসভায় তাদের ৯ জন সাংসদ রয়েছেন । অন্ধ্র প্রদেশের YSRCP ও AIADMK (4) হল বিজেপির দুটি সবচেয়ে কাছের বন্ধু। জগনমোহনের YSRCP-র রাজ্যসভায় ১১ জন সদস্য রয়েছে। ফলে তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়ালে , কিছুটা দুশ্চিন্তা কমে বিজেপির। তবে জগনমোহন বিজেপিকে সমর্থন করলে নিশ্চয়ই বিনা শর্তে করবেন না।
সব মিলিয়ে নতুন শরিক না পেলে রাজ্যসভায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে পারে কেন্দ্রের ক্ষমতাধীন জোট এনডিএ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!