- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুলাই ২৯, ২০২৪
মমতার মাইক বন্ধের প্রতিবাদে বিধানসভায় নিন্দাপ্রস্তাব তৃণমূলের প্রস্তাবের বিরোধিতায় ওয়াক আউট বিজেপির

নীতি আয়োগের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভায় শাসক দলের আনা ‘নিন্দাপ্রস্তাবের আলোচনার প্রতিবাদে ওয়াক আউট করলেন বিজেপির বিধায়কেরা। বিধানসভার বাইরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
তৃণমূলের তরফে বিধায়ক ডাঃ মানস ভুঁইয়ার আনা নিন্দাপ্রস্তাবের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পদ্ম শিবিরের বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটি পূর্বপরিকল্পিত মিথ্যাচার। এই প্রস্তাব আমরা মানি না।’ তাঁর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনে মিলে কেন্দ্রের শাসক দলের কাছে কোনো বিষয়ে ‘সেটিং’ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তাই বৈঠকের বাইরে বেরিয়ে অন্যায় দোষারোপ করছেন। শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ওঁকে পাঁচ মিনিট বলার সময় দেওয়া হয়েছিল। উনি বলেছেন। এ নিয়ে ভিতরে কিছু বলেননি। বাইরে বেরিয়ে যা বলার বলেছেন।’ তাঁর সুরে সুর মেলান বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ।বিধায়কদের আচরণে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলে ওঠেন,‘এ সব কী হচ্ছে? আপনারা আলোচনা শুনুন।’
তবে সে কথায় কর্ণপাত করেননি পদ্ম শিবিরের বিধায়কেরা। তাঁরা ওয়াক আউট করেন ও বাইরে গিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
তবে আলোচনা অব্যাহত রাখেন তৃণমূল বিধায়কেরা। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলার মানুষ বরাবর মমতাকেই চেয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করেনি এই রাজ্য। নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতাকে বলতে দেওয়া হবে না, সেটাই স্বাভাবিক। সত্যিটা বিজেপি শুনতে চাইছে না, তাই ওয়াক আউট করেছে। ।’ পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে কেন্দ্রীয় সরকার চায়, এই দেশ হোক শুধু কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্য। মমতা তার প্রতিবাদ করেছেন।’
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘গত তিন বছরে বিজেপি বেশির ভাগ সময়েই বিধানসভার বাইরে কাটিয়েছে। কোন কথা অধিবেশনে বলতে হবে, কোনটা বলতে হবে না, তা ওরা জানে না।’
মানস ভুঁইয়া বলেছেন,‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন, তা মানুষের স্বার্থে। তিনি আগে প্ল্যানিং কমিশনে কথা বলে বাংলার দাবি আদায় করে আনতেন। এখন তা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী। সারা ভারত এর জন্য ছি ছি করছে।’
যদিও বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেছেন, ‘নীতি আয়োগের বৈঠকে ওঁকে বলতে দেওয়া হয়েছিল। সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তত ক্ষণ উনি বলেছেন। বেরিয়ে অন্য কথা বলছেন। বৈঠকে উনি যাবেন কি যাবেন না, তা নিজেই দ্বিধায় ছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্রকে উনি কলুষিত করেছেন।’
পিআইবি জানিয়েছে,, মমতার মাইক বন্ধ করা হয়নি। তাঁর বলার সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল।, ঘড়িতে শুধু তা দেখানো হয়েছিল মাত্র। সতর্ক করতে কোনও বেলও বাজানো হয়নি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।
❤ Support Us